The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪

‘নেতার পেছনে সহমত ভাই বলা সংগঠন নয় ছাত্রশিবির’

ছাত্রশিবির বাংলাদেশের প্রচলিত মূলধারার অন্যান্য রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের থেকে ব্যতিক্রম বলে দাবি করছেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আবু সাদিক (কায়েম)। তার ভাষ্য, ‘নেতার পেছনে সহমত ভাই বলা সংগঠন নয় ছাত্রশিবির’।

বৃহস্পতিবার আবু সাদিক (কায়েম) তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে এ কথা বলেন।

সাদিক কায়েম পোস্টে লেখেন, ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক সংগঠন। এখানে মাঠে ময়দানে শক্তি প্রদর্শন কিংবা কারো ভ্যানগার্ড হওয়ার কোনো চর্চা নেই। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জায়গায় আদর্শিক বোঝাপড়া সম্পর্কে সচেতন ও পরিষ্কার দখল থাকা ছাত্রশিবিরের দ্বায়িত্বশীল-জনশক্তিদের জন্য জরুরি। আর এই পথটা কোনো নেতার পিছনে বানোয়াট ও প্রদর্শনমূলক ‘সহমত ভাই’ ধরনের স্লোগান দেওয়া না। ‘সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক’ গঠনের যে প্রকল্প তার প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘমেয়াদি এবং এর ফলাফলও সুদূরপ্রসারী।

ছাত্রশিবির সংখ্যাতাত্ত্বিক মানোন্নয়নের চেয়ে গুণগত মানোন্নয়নে বিশ্বাসী দাবি করে সাদিক কায়েম লেখেন, একজন জনশক্তি থেকে স্রেফ পলিটিক্যাল বেনিফিট নেওয়া কোনো আদর্শভিত্তিক সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হতে পারে না। ব্যক্তিগত নৈতিকতার পরিচর্যা করে জাতীয় দায়ভার বিশ্বস্ততার সাথে পালন করার উপযুক্ত মানুষ তৈরির ট্রেনিং সেন্টার আমাদের সংগঠন। সংখ্যাতাত্ত্বিক মানোন্নয়নের চেয়ে গুণগত মানোন্নয়ন তথা জ্ঞানগত ও চারিত্রিক (নৈতিক ও আধ্যাত্মিক) উন্নয়নই আমাদের প্রধান প্রায়োরিটি। রাজনৈতিক সচেতনতা ছাত্রশিবিরের অনেকগুলো কাজের মধ্যে একটি। একমাত্র বা মূল কাজ নয়।

ছাত্রশিবির নিয়ে জনগণের সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কখনোই শুদ্ধতার মানদণ্ড নই। ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়েই আমাদের সংগঠন। ঐতিহাসিক ও বর্তমান অবস্থানের দরুণ আমাদের প্রতি আপনাদের প্রত্যাশার জায়গাটাও বিশাল। সেজন্য জনপরিসরে প্রায়ই সমালোচনা হাজির করেন। আমরা তা ইতিবাচকভাবেই দেখি। আপনাদের গঠনমূলক সমালোচনাকে সর্বদাই পর্যালোচনা করে নীতিনির্ধারণী জায়গায় আমলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.