বিগত বছরগুলোতে চাকরির সুযোগে ডিজিটাল দক্ষতার কদর ব্যাপকভাবে বেড়েছে। দেশে নিয়োগদাতারা গত ৫ বছরে প্রতি ১০ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে এমন ৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। অর্থাৎ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ডিজিটাল দক্ষতার এ প্রয়োজনীয়তা ৯০ শতাংশ বেড়েছে।
সম্প্রতি চাকরি ও কর্মজীবন সংক্রান্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইন ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এই জরিপটি পরিচালনা করে। জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠান ২টির যৌথ এ প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘ডিজিটাল চাকরি ও ডিজিটাল দক্ষতা: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিবর্তনশীল পটভূমি’।
এই প্রতিবেদন তৈরিতে লিংকডইনের ‘অর্থনৈতিক গ্রাফ’ ব্যবহার করে ডিজিটাল চাকরি, দক্ষতা ও যোগ্যতার পাশাপাশি চাকরির ধারায় মহামারির প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ‘ডিজিটাল কর্মক্ষেত্রে’ পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন শিল্পখাত, চাকরি ও চাকরিপ্রার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতার পটভূমিকা কীভাবে রূপান্তরিত হচ্ছে।
যেসব দেশ জরিপের অংশ ছিল, সেগুলোতে শিল্পখাত ও প্রশিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, নিয়োগে চাকরিপ্রার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতার প্রয়োজনীয়তার হার ভারতে ৭৯ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৬৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ৬৪ শতাংশ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশসহ উল্লেখিত ৫ দেশে এই চাহিদার গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতিগুলোতে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে লিংকডইনের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়ার হার প্রতি বছরই তার আগের বছরের তুলনায় গড়ে ৯ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে।
একইভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ। মহামারির কারণে ডিজিটাল নিয়োগ ২০২০ সালের প্রথম ৬ মাসে অর্ধেকে নেমে আসে। তবে ২০২০ সালের শেষের দিক থেকে শুরু করে ২০২১ সালের প্রথম কয়েক মাসে এটি দ্রুত পুনরুজ্জীবিত হয় এবং এই ধারায় গতি পায়।
বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাসরুর বলেন, আমি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত। ডিজিটাল দক্ষতার চাহিদা বেড়েছে। এই চাহিদা শুধু অভ্যন্তরীণ চাকরির ক্ষেত্রেই নয়, আউটসোর্সিং ও রপ্তানি নির্ভর খাতেও বেড়েছে। করোনার পর গত বছর আমরা সফটওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর সেবা (আইটিইএস) রপ্তানি খাতে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখতে পেয়েছি।