The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

নিয়মবহির্ভূতভাবে দুই সিন্ডিকেট সদস্যকে বাদ দিলেন ববি উপাচার্য

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: নিয়মবহির্ভূতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুই সিন্ডিকেট সদস্যকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে। গত ৬ই ফেব্রুয়ারি ৪৯ তম একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও মাত্র নয়মাসের ব্যবধানে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সিন্ডিকেট সদস্য থেকে দুই শিক্ষককে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। উপাচার্যের কাছের লোককে নিয়োগ দিতেই দুজন সিন্ডিকেট সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অব্যহতি পাওয়া সিন্ডিকেট সদস্য সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক মোস্তাকিম রহমান।

জানা গেছে, গত বছরের ৩০ এপ্রিল ৪৪তম একাডেমিক কাউন্সিলে দুই বছরের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সিন্ডিকেট সদস্য দু’জন হলেন সহকারী অধ্যাপকদের মধ্য একজন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফরহাদ উদ্দিন ও প্রভাষকদের মধ্য একজন হলেন সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাকিম রহমান।

একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একাডেমিক কাউন্সিলে উপাচার্য উল্লেখ করেন শিক্ষার্থী দাবি রয়েছে সিন্ডিকেট থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের বাদ দেওয়ার। তখন ঐ দুই সদস্যকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য বাকিদের সিদ্ধান্ত জানতে চান এবং বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অন্যতম একটি দাবি ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটকে আওয়ামী দোসরমুক্ত করা। উপাচার্য গত পাঁচমাসেও সেটি করতে পারেননি। এতে দীর্ঘ পাঁচমাসেও সিন্ডিকেট সভা বসাতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এতে শিক্ষক নিয়োগসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে রয়েছে।

একাডেমিক কাউন্সিলের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে এমনকি উপাচার্যের নিজ দপ্তরেও স্বৈরাচারের দোসরদের দিয়ে চলছে, সেখানে কোন সমস্যা হচ্ছে না? স্বৈচারের দোসরের অভিযোগ তো তার বিরুদ্ধেও উঠেছে। বিভিন্নভাবে উপাচার্য নিজেও স্বৈরাচার সরকারের সহযোগিতা করেছেন। এখনো একাধিক সহকারী প্রক্টর, ডীন হলের প্রভোস্ট রয়েছেন যারা স্বৈরাচার সরকারের সময়েও দায়িত্বে ছিলেন। নিজের কাছের লোক স্বৈরাচার হলেও সমস্যা নেই কিন্তু বিরোধী মতাদর্শের লোককে স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে অপসারণ করা হচ্ছে এটা দুঃখজনক।

সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাকিম রহমান বলেন, নিয়মবহির্ভূত ভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক ক্যাটাগরির সিন্ডিকেট মেম্বারদের বাদ দেয়া হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট মেম্বারদের বাদ দেয়ার উদাহরণ নেই।

পূর্বে ভিসির ঘনিষ্টজন সেনাবাহিনীর ট্রেজারার নিয়োগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় উক্ত দু’জনের প্রতি অসন্তোষের ফসল হিসেবে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ও অবৈধ। ভিসির ঘনিষ্ঠজনদের সিন্ডিকেটের সদস্য করার লক্ষ্যে এই দু’জনকে বাদ দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

সার্বিকবিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.