আকাশচুম্বি দামের কারণে টুনা মাছ সাধারন ক্রেতাদের কাছে বিলাসিতা। আকাশছোঁয়া দামের কারনে টুনা মাছ বরাবরই ‘কালো হীরা’ নামে পরিচিত। তার ওপর আকার হয়েছে বিশাল দৈত্যের মতো।
সব মিলিয়ে নিলামে দৈত্যাকার এক টুনা মাছের দাম উঠেছে প্রায় তিন কোটি টাকা। যদিও এই দাম টুনা মাছের অতীত রেকর্ডের তুলনায় নিতান্তই কম। তবু এটিকে মহামারির মন্দাভাব কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিগত চার বছরের মধ্যে এই প্রথমবার নিলামে টুনা মাছের দাম এতো বেশি উঠলো। ভোক্তারা আবারও বার-রেস্টুরেন্টে দুহাত খুলে খরচ করতে শুরু করেছে, এটি তারই লক্ষণ।
ব্লুমবার্গের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি জাপানের রাজধানী টোকিওর টোয়োসু মাছের বাজারে ২০২৩ সালের প্রথম আনুষ্ঠানিক নিলামে একটি টুনা মাছ বিক্রি হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ইয়েনে (২ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার)। বাংলাদেশি টাকায় মাছটির দাম ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা প্রায়।
টুনা মাছটির ওজন ২১২ কেজি। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। টোয়োসুর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই মাছটির দাম আগের বছরের প্রথম বিক্রিতে পাওয়া মূল্যের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। মাছটি ধরা হয়েছে জাপানের উত্তর আওমোরি অঞ্চলের ওমা এলাকা থেকে।
সুশি চেইন অপারেটর ওনোদেরা গ্রুপের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামুদ্রিক খাবারের পাইকারি বিক্রেতা ইয়ামায়ুকির সঙ্গে টানা তৃতীয়বার নিলামে জয়লাভ করেছেন তারা। নিলামে কেনা দৈত্যাকার টুনা মাছটি কেটে নিয়ে বৃহস্পতিবার টোকিওর ওমোটেসান্দোর শপিং ডিস্ট্রিক্টের ওনোদেরার রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা হবে।
জাপানের প্রিয় খাদ্য সুশির অন্যতম উপকরণ টুনা। মাছের তলপেটের চর্বি দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু খাবার। সেজন্য টুনা মাছের চাহিদা জাপানে সব সময়ই বেশি।