ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন যত দেরি হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সাবেক স্বৈরাচার দেশি-বিদেশি প্রভুদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেই চলেছেন। তাই দেশকে রক্ষা ও ভবিষ্যৎকে নিয়ে ভাবতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ততই ষড়যন্ত্র বাড়বে। কারণ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে হটিয়েছি। কিন্তু হটিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার তো থেমে নেই। দেশি ও বিদেশি দোসরদের নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। দেশের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি আর দরকার নির্বাচন।
তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বার বার নির্বাচনের কথা বলছি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কিভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়।
শুধুমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কারের বাস্তবায়ন সম্ভব বলে এ সময় মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে সেই সংস্কার বিএনপিও চায়। বেশি সংস্কার করতে গিয়ে নির্বাচন করতে দেরি হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নিতে পারে।
চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।