লাবিবা সালওয়া ইসলাম, নিটারঃ পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মে যে সব প্রধান ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হয় সেগুলির মধ্যে ইদুল ফিত্র হচ্ছে অন্যতম৷ এ মহান পুণ্যময় দিবসের উদযাপন শুরু হয় আজ থেকে মাত্র ১৩৮০ সৌর বছর পূর্বে৷ ইসলামের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনাতে হিজরত-এর অব্যবহিত পরেই ইদুল ফিত্র উৎসব পালন শুরু হয়৷ দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার ও সামর্থ্য থাকলে ফিতরা, যাকাত দেওয়ার পর ইসলাম ধর্মাবলম্বী মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকে।
ঢাকার অদূরে সাভারের নয়ারহাটে অবস্থিত নিটারের শিক্ষার্থীরা ও এর ব্যতিক্রম নয়। নিটারিয়ানরা ইদের শত ব্যস্ততার ভিড়েও তাদের ইদুল ফিতরের অনুভূতিগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েছে।
“যান্ত্রিক কোলাহলে আমার ইদ”
বছর ঘুরে আবারো পালিত হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। এ মহিমান্বিত মাস শেষে আসে এক খুশির ইদ। বিগত বছরগুলো থেকে আমার এবারের ইদটা একেবারেই আলাদা। এ ইদে রয়েছে নতুন একগুচ্ছ অনুভূতি। কারণ এটি আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ইদ।
আমার জীবনের সব ইদ যান্ত্রিক কোলাহলের শহর ঢাকাতে কেটেছে। ইদের এই ঢাকার প্রতি রয়েছে আমার অন্যরকম এক ভালোলাগা। এ ভালোলাগা অবর্ণনীয়; শুধু অভিজ্ঞতাই এর পূরক। ঘোরাফেরা, বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো, আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাওয়া, এভাবেই সাধারণত আমার ইদের দিন গুলো কাটে। কিন্তু এবারের ইদ একটু ভিন্ন। ক্যাম্পাসে গিয়ে আমি সারা দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষের সাথে মেশার সুযোগ পেয়েছি। তাদের সাথে থেকে তাদের চোখে ইদের আনন্দ দেখতে পারাটা ছিল একটি নতুন অভিজ্ঞতা। ক্যাম্পাসে সময় কাটানো বন্ধুদের সাথে সেহরি, ইফতার, পরিবারের প্রতি নাড়ির টান, এসব নতুন অনুভূতি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। নতুন পরিবেশ মানুষকে জীবনের একটি নতুন দৃষ্টিকোণ প্রদান করে। আমার ক্যাম্পাসের বন্ধুরা আমার জীবনের একটি অপরিবর্তনীয় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয়তো তাদের সাথে ইদ করা হচ্ছে না, তবুও এই ইদ স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমার স্মৃতির পাতায়।
এম.এম মোহতাসীম শাহারিয়ার, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, নিটার।
“ইদুল ফিতরের আমেজ”
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব হিসেবে ইদুল ফিতর উদযাপন বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে উঠেছে। ধর্মীয় পরিভাষায় একে ইয়াওমুল জায়েজ বা পুরস্কারের দিবস হিসাবেও বর্ণনা করা হয়েছে৷ এই দিনটি মুসলমানেরা খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকে৷ এই দিনে সবাই সবাইকে “ইদ মোবারক” বলে শুভেচ্ছা জানায়।
ইদের দিন নামাজ সারা দেশে, মাঠ, ইদগাহ বা মসজিদের ভিতরের মতো খোলা জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়। ইদের দিনে সকালে প্রথম আনুষ্ঠানিকতা হলো নতুন জামা-কাপড় পরে ইদের নামাজ পড়তে যাওয়া৷ ইদের নামাজ সবার জন্য৷ নামাজের পর সবাই একসাথে হওয়া, দেখা করা৷ ইদের দিনে সালামি গ্রহণ করা প্রায় সব দেশেই রীতি আছে৷ তবে এর ধর্মীয় কোন বাধ্যবাধকতা বা রীতি নেই।
ইদের দিনে সেমাই সবচেয়ে প্রচলিত খাবার এবং বিশেষ আরো অনেক ধরনের খাবার ধনী-গরিব সকলের ঘরে তৈরি করা হয়৷ এ উৎসবের আরো একটি রীতি হলো আশেপাশের সব বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া এবং প্রত্যেক বাড়িতেই হালকা কিছু খাওয়া৷ এ রীতি বাংলাদেশে প্রায় সবাই-ই মেনে থাকে।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম-প্রধান দেশে ইদুল ফিতরই হলো বৃহত্তম বাৎসরিক উৎসব৷ ইদ উপলক্ষে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকদিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করে৷ ইদের আমেজে প্রতিবছর সকল মুসলমান মেতে থাকে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। নতুন পোশাক পরিধান, হাতে মেহেদী, পরিবার পরিজনের সাথে ইদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া, সুস্বাদু খাবার খাওয়া। এইতো আমার ইদ। প্রতিবছর এইভাবেই ইদ আসুক এবং আমাদের জীবনে আনন্দ নিয়ে আসুক।
উম্মে জান্নাত জেসি, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, নিটার।
“ইদের দিন ও কি অখুশি থাকা যায়?”
মানুষের জীবনে ইদ আসে খুশির বার্তা নিয়ে। বছরের অন্য দিনগুলো যেমনই যাক ইদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে, ইদের নামাজ পড়ে আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করা, সালামি আদান প্রদান, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া, পরিবারের সবার সাথে একসাথে খাওয়া- দাওয়া, ঘুরতে যাওয়ার মাঝে এক অন্যরকম আনন্দ কাজ করে।
এরকম আনন্দের মাঝেও আধুনিক সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমদের মাঝে অনেকেই খুশি হতে পারি না। সমস্যা সবার জীবনেই থাকে, আর নিজেদের সমস্যাগুলোকে সবসময় বড়ই মনে হয়। অনেককেই দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেয়, ” আজ ইদের দিনও মন খারাপ “, “ঘুরতে যাওয়ার মত বন্ধু নেই” ইত্যাদি আরো নানারকম পোস্ট। কিন্তু ইদের মত একটা দিন যেদিন কেউ খুশি না থাকলেও পারিপার্শ্বিকতার জন্য আমরা খুশি হয়ে যাই, সেইদিনও কেন আমাদের সমস্যা গুলোর কথা মনে করে কষ্ট পেতে হবে। ভালো থাকাটা আমাদের একান্তই নিজের কাছে। এই সময়ে ভালো থাকা বা খুশি থাকার অনেক মাধ্যম আছে। নিজেদের খুশি কিসের মাঝে সেগুলো খুঁজে বের করে সেসব নিয়েই খুশি থাকা উচিত। এই সময়ে সে ই সবচাইতে অখুশি থাকে যে অখুশি থাকতে চায়। কেউ যদি খুশি থাকতে চায় তাহলে তার খুশি হওয়ার মাধ্যমের অভাব হবে না। আর ইদের দিনের খুশির জন্য কি মাধ্যমের প্রয়োজন? ইদের দিনগুলোতে তো এমনিতেই খুশি থাকা যায়। আমরা চাইলেই বিভিন্ন ভাবে খুশি থাকতে পারি। একেকজনের খুশি থাকা একেক রকম
আমার কাছে ইদের খুশি থাকা চাঁদরাতে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি, খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা, পরিবারের সবাই মিলে ইদগাহে নামাজ পড়ে বের হয়ে পড়ি ঘুরতে। আত্মীয় স্বজনের সাথে ইদ খুশি আদান প্রদান, দুপুরবেলা পরিবারের সবার সাথে, আম্মুর হাতের রান্না খেয়ে আবার বিকেলে ঘুরতে যাই। বাইরে পছন্দের ফাস্ট ফুড, আইস্ক্রিম এসব খেয়ে বাসায় ফিরি। এসবের মাঝেই আনন্দ খুঁজে নেই। ইদের দিন এমনিতেই খুশি চলে আসে।
এ এস এম জুবায়ের, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, নিটার।
“ইদ মানে সমৃদ্ধির আলোতে সহযোগিতার মেলা”
আমার কাছে ইদ মানে প্রিয়জনের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত। বর্তমানে আমরা জীবন নিয়ে এতো ব্যস্ত যে নিজেদের আপনজনদেরকে সময় দেওয়া তো দূরের কথা তাদের সাথে দু’মিনিট কথা বলতে পারি না। ইদ আমাদের জীবনে সেই সুযোগ এনে দেয়। ইদের পবিত্রতা ও আনন্দকে ভাগাভাগি করার জন্যে সকল প্রান্ত থেকে মানুষ তার পরিবারের কাছে ছুটে আসে।
আমার পুরো ইদ কাটে পরিবারকে কেন্দ্র করে আমার গ্রামের বাড়িতে। ইদের আগের দিন ইফতারে হরেক রকমের শরবত ও খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে গল্পে মেতে উঠি। তারপর চাঁদ দেখার জন্যে আমরা সকল ভাইবোনরা আনন্দের সাথে বের হই। চাঁদ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে সবাই ইদ মোবারক বলে একে অপরকে ইদের শুভেচ্ছা জানাই। তারপর আমরা ভাইবোনরা মিলে একসাথে গানের কলি খেলার মাধ্যমে নিজেদের শৈশবে ফিরে যাই। বোনেরা মিলে মেহেদী লাগানোর এক উৎসব শুরু করে ফেলে। ইদের দিন বাবা, চাচা আর আমরা ভাইরা মিলে ফজরের নামাজ পড়ার মাধ্যমে দিন শুরু করি। তারপর আমরা ভাইরা মিলে সকলে পুকুরে গোসল করার মাধ্যমে ঠান্ডা পানিতে নিজেদের অন্তর কে সিক্ত করি। তারপর সবাই একসাথে বসে সকালের নাস্তা করি। নাস্তা তে থাকে মা-চাচিদের বানানো হরেক রকমের মিষ্টান্ন, পায়েস, সেমাই। সকলে মিলে সেই সকল খাবারের স্বাদ আনন্দের সাথে উপভোগ করি। তারপর সকলে নতুন জামা পড়ে ইদের নামাজ পড়তে যাই। নামাজের পর আমরা ভাই বোনেরা মিলে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলি এবং আনন্দে মেতে উঠি। সব শেষে বিকেলে আমরা বাসা ফিরি ও সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে দেখা করি। তাদের সাথে গল্প ও আড্ডা দিতে দিতে শেষ হয় আমার ইদ।
ইদ আমার জীবনের সকল ব্যস্ততার মাঝে আমাকে বিরতি দেয়, সুযোগ করে দেয় নিজের মতো বাঁচতে। তাই ইদ আমার জীবনের একটি অনন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন।
নাফিস ইরাম, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, নিটার ।
“আমার কাটানো ইদ : মনের দোকানে সুখের আয়না”
সমগ্র মুসলিম জাহানের অন্যতম প্রধান উৎসব হল ইদ। ইদ অর্থ আনন্দ। এর শাব্দিক অর্থ হল- ‘বারবার ফিরে আসা’ (عَادَ-يَعُوْدُ-عِيْدًا) এ দিনটি বারবার ফিরে আসে বলে এর নামকরণ হয়েছে ইদ। আল্লাহ তা‘আলা এদিনে তার বান্দাকে নি‘আমাত ও অনুগ্রহ দ্বারা বারবার ধন্য করে থাকেন, বারবার ইহসান করেন।
ইদ আমার কাছে সবসময়ই আনন্দদায়ক হলেও এবারের ইদ-আনন্দ অনেকটাই স্পেশাল। জীবনে প্রথমবারের মতো পবিত্র মাহে রমজানের ২২ টি দিন পরিবার ছাড়া কাটানোর পর , ইদের ছুটিতে বাড়িতে আসার যে অনুভূতি সেটি সত্যিই অসাধারণ। নিজের বাড়ির প্রতি যে মোহ – মায়া, টান কাজ করে সেটি এবার ইদে বাড়ি আসার সময় খুব ভালোভাবেই টের পেয়েছি। গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনে ” স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার ” গানটির মর্ম খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছি । পরিবারের সাথে ইদ করাই যেন স্বপ্ন। বাড়ি আসার সময় সত্যিই মনে হচ্ছিল, স্বপ্ন সত্যি বাড়ি যাচ্ছে পরিবারের সাথে ইদ করতে।
পরিবার , আত্মীয় স্বজনদের নিয়েই আমার ইদ কাটে। ইদের আগের দিন শেষ ইফতারে নানা রকমের হরেকরকম খাবারের মাধ্যমে পবিত্র রমজানকে বিদায় জানিয়ে চাঁদ দেখার জন্য ভাইবোনরা মিলে নদীর পাড়ে বসে চাঁদ মামা কে নিয়ে হাসি – ঠাট্টা করে আনন্দে মেতে উঠি । একে অপরকে ইদের শুভেচ্ছা জানাই। সকলে মিলে নানা রকম খেলাধুলা করি । বোনেরা মিলে মেহেদী দেয়ার উৎসব শুরু করে দেই । গান – বাজনা হৈ-হুল্লোড়ে একাকার থাকে বাড়ির পরিবেশ ।
আমার ইদের দিন শুরু হয় সকালে ঘুম থেকে উঠে সবাইকে ইদের নামাজে যাওয়ার বিদায় জানানোর মাধ্যমে। এরপর গোসল শেষে সকলে নতুন জামাকাপড় পড়ে একসাথে সব ভাইবোনেরা মিলে মায়েদের বানানো নানা রকম খাবার – সেমাই , পায়েস, নুডুলস ইত্যাদি খাই। খাওয়া শেষে সবাই মিলে গল্পগুজব, হৈ-হুল্লোড়, খেলাধুলা করি। দুপুরে পরিবার আত্মীয় স্বজনদের সাথে একসাথে বসে খাওয়ার সময় সৃষ্টি হয় এক আনন্দমেলার। বিকালে ভাই বোনেরা মিলে নৌকা দিয়ে ঘুরতে যাই, নদীর পাড়ে বসে আড্ডা দেই । এভাবেই আমার ইদের দিন অনেক আনন্দের সাথে শেষ হয়।
এই ইদটি আমার নিজের পরিবারের প্রতি ভালবাসা, তাদের প্রতি আবেগ, মনের ভিতরে থাকা সুপ্ত অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলেছে। ভার্সিটি জীবনের প্রথম ইদ হিসেবে এবারের ইদ সত্যিই আমার জন্য অনেক স্মরণীয় ।
সামিহা জান্নাত, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, নিটার।
“পৃথিবী জুড়ে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ইদ”
এবারের ইদ আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ইদ। ইদের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছেই সবাই একসাথে হয়ে আনন্দ করা। আমি ইদ করি আমার দাদা বাড়িতে। ইদের আমেজ মূলত আগের দিন চাঁদ দেখার মাধ্যমেই শুরু হয়ে যায়। ঐদিন রাতে আমরা সব ভাই বোনরা মিলে এক সাথে চাঁদ দেখি। এরপর বাড়ির সব মেয়েরা হাতে মেহেদী দিতে বসে। এই দিন আমরা সবাই একটু আগে ঘুমিয়ে পড়ি। কারণ ইদ এর দিন সকালে উঠতে হবে। ইদের দিন খুব সকালে উঠে গোসল করে নতুন জামা কাপড় পরি। এরপর বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, পিঠা খেয়ে নামাজের জন্য সবাই মিলে ইদগাহ ময়দানে যাই। ইদের নামাজ শেষ করে একজন অন্য জনকে ইদ মোবারক জানাই। এরপর বাসায় ফিরে এসে বড়দের কাছ থেকে সালামি নেই এবং ছোটদের সালামি দেই। দুপুরে সবাই এক সাথে খাবার খাই। বিকালে সবাই মিলে ঘুরতে বের হই। রাতে সবাই একসাথে বসে গল্প করতে করতে দিনটি আনন্দের সাথে শেষ হয়।
আমাদের মুসলমানদের বছরে মাত্র দুইটি ইদ আসে। তাই আমাদের এই দিনটি আনন্দের সাথে উৎযাপন করা উচিত।
মোঃ তারিকুল ইসলাম, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, নিটার।