নিজের জমির গাছ কাটতেও সরকারের অনুমোদন লাগবে। বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন ২০২২ খসড়ায় এ কথা বলা হয়েছে। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়াটি তোলা হয়। দুপুরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বনশিল্প উন্নয়ন আইনে একটি করপোরেশন থাকবে। সেখানে একজন চেয়ারম্যান এবং পরিচালকের সমন্বয় বোর্ড গঠন হবে। বোর্ড সব ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে। চেরাই কাঠ, আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক খুঁটি, রেলের স্লিপার নির্মাণসামগ্রী, রাবার বাগান থেকে যাতে আরও রাবার আহরণ করা যায়। মোট কথা বনজ সম্পদের ব্যবহার আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করতে হবে। মৌলভীবাজার জেলার জুরি উপজেলায় আগর গাছ আইনের আওতায় থাকবে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তি মালিকানা গাছও অনুমোদন ছাড়া কাটা যাবে না। তবে মানুষ যাতে সহজে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে গাছ কাটার জন্য অনলাইনে অনুমোদন নিতে পারে সে বিষয়ে বলা হয়েছে।’
সচিব বলেন, ‘বনশিল্প আইন শুধু বনের নিরাপত্তাই নয় সব ধরনের গাছ ও বনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন করা হচ্ছে। সরকারি স্থাপনা বা রাস্তাঘাট তৈরির জন্য যেকোনো ক্ষেত্রে গাছ কাটতে হলে অনুমোদন লাগবে। বন শিল্প সংরক্ষণ করা এ আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে বিশাল এক বনাঞ্চল করা হয়েছে। সেখানে নানা ধরনের সাপ, বানর এবং অন্যান্য পোকামাকড় রয়েছে। এটি সুন্দরবনের চেয়ে কম বড় না। স্থায়ী জায়গায় গাছ, ফলে ইচ্ছাকৃতভাবে গাছ কাটা যাবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই আইন বলবৎ আছে। এ আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য সব ধরনের বন শিল্পকে নিরাপত্তা দেওয়া। যে কোনো গাছ কাটতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তবে এই অনুমোদন যাতে অনলাইনে নেওয়া যায় এবং সহজতর উপায়ে কাজটি করা যায় সে ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন রয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করার সময় বিপুলসংখ্যক গাছ কাটা হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটা হলে এখানে শাস্তি অন্যান্য আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।