The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নারী শিক্ষার্থীদের হেনেস্তাকারী ঢাবি শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালিদ বিন আমীরের পদত্যাগ চেয়ে বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিভাগের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্থা, হিজাব নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, শিক্ষার্থীদের মানসিক নিপীড়ন, পাঠদানে অযোগ্যতা ও অপেশাদারিত্বসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিভাগের এক শিক্ষার্থী দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসকে জানান তিনি গভীর রাতে মেয়েদের মেসেজ ও ফোন দেন। মাঝে মাঝে নারী শিক্ষার্থীদের ডিপার্টমেন্টের রুমে একা ডাকেন। তিনি ক্লাসে অশ্লীল কথা বলেন। পোশাক নিয়ে কটু কথা বলেন। বিবাহিত শিক্ষার্থীদের বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে ক্লাসে কথা তোলেন। আঞ্চলিকতা নিয়েও ক্লাসে কথা তোলেন। ক্লাসে একটু লম্বা মেয়েদের ডিরেক্টলি উচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিভিন্ন সময় মেয়েদের শারীরিক গঠন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পড়ানোর মতো যোগ্যতাই নেই, পারদর্শীও না। তার অধীনে ইন্টার্নশিপ করেছে এমন একটা মেয়েকেও তিনি অশ্লীল কথাবার্তা বলতেন। তাকে বলেছেন, আপনি উল্টাপাল্টা কিছু করেন কিনা, আপনি আমার সামনে বোরকা পরেন, আপনার বয়ফ্রেন্ডের সামনে বোরকা পরেন তো। আমাদের বিভাগের শিক্ষক সাগুপ্তা শাহীন ম্যামের চুল কালার করা নিয়ে তিনি একবার ক্লাসে বিরূপ মন্তব্য করেন। এ ছাড়া তিনি মাঝে মধ্যে ক্লাসে বলতেন, আমার বৌ খুব বোরিং। আমার একটা গার্লফ্রেন্ড ছিল। আমি এখন খুব হতাশ।বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী জানান ২০২১ সালে তিনি ২৫ তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ৩য় সেমিস্টার পরীক্ষার ৩৮ জনকে ফেল করিয়ে দেন।

সার্বিক বিষয়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তো ছেলে-মেয়েদের সব কথা শুনেছি। ওরা খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমরা সব তদন্ত করব, ছেলে মেয়েদের আমরা ডেকে কথা বলব। কথা বলে মোটামুটি প্রসিডিউয়াল যে অ্যাকশন গুলো হয়, ছেলেমেয়েদের এভিডেন্সগুলোর যতটুকু সত্যতা আছে সেই আলোকে আমরা অ্যাকশনে যাব।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.