The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪

নানা আয়োজনে জবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

জবি প্রতিনিধি: মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রকাশনা প্রদর্শনী সহ নানা অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপিত হয়েছে।

শুক্রবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকাল ৯.৩০মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।

শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিরে আসে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’। শোভাযাত্রায় শান্তির প্রতীক হিসেবে কবুতরের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়, এছাড়াও বড় আকারের লক্ষীপ্যাঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতার প্রতিকৃতি স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনসমূহ অংশগ্রহণ করেন।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, আমরা শান্তি ও সম্প্রীতি চাই। আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে তবুও আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যেতে হবে।’

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় দলীয় ও লোক সংগীত। এছাড়াও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে বাঙালী ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন ‘রায়বেঁশে বা লাঠিখেলা’ মঞ্চায়িত হয়। এসময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকলে আনন্দে নেচে গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তুলে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, বার্তাসহ শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ স্থান পায়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. নানা আয়োজনে জবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

নানা আয়োজনে জবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

জবি প্রতিনিধি: মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রকাশনা প্রদর্শনী সহ নানা অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপিত হয়েছে।

শুক্রবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকাল ৯.৩০মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।

শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিরে আসে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’। শোভাযাত্রায় শান্তির প্রতীক হিসেবে কবুতরের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়, এছাড়াও বড় আকারের লক্ষীপ্যাঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতার প্রতিকৃতি স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনসমূহ অংশগ্রহণ করেন।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, আমরা শান্তি ও সম্প্রীতি চাই। আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে তবুও আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এগিয়ে যেতে হবে।’

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় দলীয় ও লোক সংগীত। এছাড়াও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে বাঙালী ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন ‘রায়বেঁশে বা লাঠিখেলা’ মঞ্চায়িত হয়। এসময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকলে আনন্দে নেচে গেয়ে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বর্ষবরণকে আনন্দবহ করে তুলে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, বার্তাসহ শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ স্থান পায়।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন