The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

নাইজারে অভ্যুত্থান, রাশিয়াকে দায়ী করেছে ইউক্রেন

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে ঘটে যাওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক এ দাবি করেন।

মঙ্গলবার সামাজিকমাধ্যম এক্স/ টুইটারে পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন। পোদোলিয়াক বলেন, এটি এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে নাইজারে তথাকথিত সামরিক অভ্যুত্থানের পেছনে সরাসরি রাশিয়া রয়েছে। এটি একটি আদর্শ রাশিয়ান কৌশল, যার মাধ্যমে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া এবং সংঘর্ষকে প্রসারিত করাই রাশিয়ার কাজ।

তিনি দাবি করেন, বর্তমানে নাইজারের প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো এবং মালি সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই দুই দেশে রাশিয়ান কুখ্যাত আধাসামরিক ওয়াগনার গ্রুপ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এর ফলে ধারণা করা যায়, বৈশ্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থাকে দুর্বল করা এবং অস্থিতিশীলতাকে উসকে দেওয়ার জন্য বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। যা নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রমান হয়।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা বলেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অপসারণ করতে হবে। অথবা রাজনৈতিকভাবে রাশিয়ার পুনর্জন্ম ঘটলে বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।’

গত ২৬ জুলাই, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। সে সময় দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে আটক করে। এর পর তারা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এবং খারাপ শাসনের কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহাম্মদ বাজুম। ১৯৬০ সালে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এটি ছিল নাইজারের প্রথম গণতান্ত্রিক ক্ষমতার উত্তরণ।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.