বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনরনণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের টিভিরুমে ওই নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হল প্রশাসন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবীনদেরকে হলের রিডিংরুম, শহীদ মিনারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সম্পর্কে পরিচিত করিয়ে দেন ওই হলের হাউস টিউটর সহযোগী অধ্যাপক ড. টুম্পা রাণী সরকার। এসময় নবীনদের উদ্দেশ্যে হলের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও নিয়ম-শৃঙখলা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। পরবর্তীতে নবাগতদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
পরে হলের সকল স্টাফদের সাথে নবীনদের পরিচয় করিয়ে দেন হলের সেকশন অফিসার জোবাইদা খাতুন। পরবর্তীতে রোভার স্কাউট, ডিবেটিং ক্লাবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নবীনদের শুভেচ্ছা প্রদান করেন স্ব স্ব সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. পলি কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি।
অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদ নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই বাকৃবির গ্র্যাজুয়েট আছে। বাকৃবির শিক্ষার্থী হিসেবে তোমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। তবে কৃষিকে মন থেকে ধারণ করতে হবে। কৃষির বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করতে হবে।হলে তোমাদের সকল প্রকার স্বাধীনতা আছে। তবে স্বাধীনতা মানেই যা ইচ্ছা সেটিই করা নয়। সামাজিক মূল্যবোধের বিষয়গুলো চিন্তা করতে হবে। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
হল প্রভোস্ট বলেন, বাবা-মায়ের কাছে তাদের মেয়ে যেমন রাজকন্যা তেমনি আমার হলের প্রতিটি শিক্ষার্থীও আমার জন্যে রাজকন্যা। তাদের কাজ শুধু পড়াশোনা করা। আর সেই পড়াশোনার জন্য সার্বিক সুস্থ্য পরিবেশ দেওয়া হল প্রশাসনের দায়িত্ব। আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করব।