বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যপক পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু এ পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষকেরা কতটা খাপ খাওয়াতে পারছেন, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সারা বিশ্বের মতো ৫ অক্টোবর বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। আর এবারের মূল প্রতিপাদ্য—শিক্ষকদের দিয়েই শিক্ষার রূপান্তর শুরু।
কারণ, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষকের দক্ষতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে, আবার অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা কৌশলে শিক্ষার্থীদের কোচিং-প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে।
তাই শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে তাঁদের আর্থিক সুবিধা ও মর্যাদা বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে শিক্ষায় যে রূপান্তর বা পরিবর্তন আসছে, তার ভালো নয় খারাপ করবে বেশি।
পরিবর্তিত শিক্ষার বিষয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক এ কিউ এম শফিউল আজম গণমাধ্যমকে বলেন, রূপান্তরিত শিক্ষার জন্য সব শিক্ষককে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।.
তবে পূর্বে শিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা খুব একটি সুখকর নয়। মাউশির গত মাসের এক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ৬২ শতাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সরাসরি সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে সক্ষম হলেও এখনো অন্য বিদ্যালয়ের সহায়তায় সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেন ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর কারণে প্রথমে অনলাইন এবং পরবর্তীতে সশরীরের মতো মিশ্র ব্যবস্থায় ক্লাস হয়েছে বা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও যাতে এই মিশ্র ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সে সিদ্ধান্তও হয়েছে। আর এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিখতে হবে শিক্ষকদেরও, নিজেদের ঢেলে সাজাতে হবে এসব প্রক্রিয়ায়।
তবে, এসব নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বাড়ানো এবং শিক্ষকদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করা করলে শিক্ষকেরা উদ্বুদ্ধ হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।