প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার নতুন শিক্ষাব্যবস্থার কাজে হাত দিয়েছে। নতুন এই শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মুখস্থবিদ্যার বদলে কৌতূহলী করে তুলবে। তাদের গবেষণা ও ভাবনার শক্তিকে কাজে লাগাতে সহায়তা করবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। কর্মশালায় অনেকেই সশরীরে ও ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন।
আমিনুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষককেন্দ্রিক ব্যবস্থা থেকে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষায় উত্তরণে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিশু তার জানার পরিধি বাড়াবে, আপন ভুবন সাজাবে। সে নিজেই নানা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে, তা মোকাবিলা করে অভীষ্ট গন্তব্য পৌঁছাবে। শিক্ষার শক্তিই পৃথিবীর অপার সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে সত্যি করতে পারে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ ও পরিচালক হামিদুল হক।
কর্মশালায় ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে শিক্ষায় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং আমাদের করণীয়, প্রস্তুতি’ বিষয়ে চারটি ক্ষেত্রে (কনটেন্ট ও শিখন-শেখানো কার্যক্রম, শিক্ষক সক্ষমতা উন্নয়ন, মূল্যায়ন ও অবকাঠামো) চারটি দলের দলীয় কাজ উপস্থাপন করা হয়।