The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪

নতুন নিয়মে কনস্টেবল নিয়োগ যুগান্তকারী পদক্ষেপ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পুলিশ সদস্যদের ‘জনগণের পুলিশ’ হওয়ার শপথ নিয়ে দেশ ও জনগণের সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। নতুন নিয়মে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ পাওয়া তিন হাজার কনস্টেবলের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল রোববার বিকেলে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘চাকরি নয়, সেবা’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৫ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালে হবে উন্নত দেশ। উন্নত বিশ্বের উপযোগী করে বাংলাদেশ পুলিশকে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ পুলিশকে নিয়ে বিশ্বে গর্ব করি। আমাদের পুলিশ বাহিনীর মান এখন বিশ্বমানের কাছাকাছি।’

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, নতুন নিয়মে স্বচ্ছতা ও পেশাদারির সঙ্গে কনস্টেবল নিয়োগের মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগে এক নবযাত্রা সূচিত হয়েছে। ১৯৮০ সালের পর বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগে প্রথম পরিবর্তন এনেছে সরকার। দীর্ঘ ৪০ বছর পর নতুন পদ্ধতিতে কনস্টেবল নিয়োগ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন এক মাইলফলক হয়ে থাকবে।

পুলিশে ‘চাকরি নয়, সেবা’ স্লোগানে সৎ, সাহসী ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম তিন হাজার কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন নিয়মে নিয়োগ পাওয়া এসব কনস্টেবলের মৌলিক প্রশিক্ষণেও পরিবর্তন এসেছে। তাঁদের জন্য প্রতিটি কক্ষে চারজনের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ হ্যান্ডবুক পরিবর্তন ও প্রশিক্ষণ প্রায়োগিক ও বাস্তবভিত্তিক করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, পরিবর্তিত আধুনিক বিশ্বে অপরাধের ধরনে এসেছে আমূল পরিবর্তন। বর্তমানে সাইবার অপরাধ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দক্ষ পুলিশের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পুলিশের বেশির ভাগ সদস্য কনস্টেবল।

শান্তি-শৃঙ্খলা বজায়, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত, আসামি গ্রেপ্তার, টহল, বেআইনি সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ, পরোয়ানা তামিল ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পুলিশ। তাই তাদের বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, নতুন নিয়োগবিধিতে স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্য জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর সুফল জনগণ শিগগিরই পাবে। সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ও সার্জেন্ট পদে নিয়োগের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. জব সার্কুলার
  3. নতুন নিয়মে কনস্টেবল নিয়োগ যুগান্তকারী পদক্ষেপ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নতুন নিয়মে কনস্টেবল নিয়োগ যুগান্তকারী পদক্ষেপ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পুলিশ সদস্যদের ‘জনগণের পুলিশ’ হওয়ার শপথ নিয়ে দেশ ও জনগণের সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। নতুন নিয়মে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ পাওয়া তিন হাজার কনস্টেবলের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল রোববার বিকেলে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘চাকরি নয়, সেবা’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৫ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালে হবে উন্নত দেশ। উন্নত বিশ্বের উপযোগী করে বাংলাদেশ পুলিশকে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ পুলিশকে নিয়ে বিশ্বে গর্ব করি। আমাদের পুলিশ বাহিনীর মান এখন বিশ্বমানের কাছাকাছি।’

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, নতুন নিয়মে স্বচ্ছতা ও পেশাদারির সঙ্গে কনস্টেবল নিয়োগের মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগে এক নবযাত্রা সূচিত হয়েছে। ১৯৮০ সালের পর বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগে প্রথম পরিবর্তন এনেছে সরকার। দীর্ঘ ৪০ বছর পর নতুন পদ্ধতিতে কনস্টেবল নিয়োগ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন এক মাইলফলক হয়ে থাকবে।

পুলিশে ‘চাকরি নয়, সেবা’ স্লোগানে সৎ, সাহসী ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম তিন হাজার কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন নিয়মে নিয়োগ পাওয়া এসব কনস্টেবলের মৌলিক প্রশিক্ষণেও পরিবর্তন এসেছে। তাঁদের জন্য প্রতিটি কক্ষে চারজনের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ হ্যান্ডবুক পরিবর্তন ও প্রশিক্ষণ প্রায়োগিক ও বাস্তবভিত্তিক করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, পরিবর্তিত আধুনিক বিশ্বে অপরাধের ধরনে এসেছে আমূল পরিবর্তন। বর্তমানে সাইবার অপরাধ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দক্ষ পুলিশের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পুলিশের বেশির ভাগ সদস্য কনস্টেবল।

শান্তি-শৃঙ্খলা বজায়, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত, আসামি গ্রেপ্তার, টহল, বেআইনি সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ, পরোয়ানা তামিল ও নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পুলিশ। তাই তাদের বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, নতুন নিয়োগবিধিতে স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্য জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর সুফল জনগণ শিগগিরই পাবে। সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ও সার্জেন্ট পদে নিয়োগের পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন