The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেল চুরি, ৪ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের শিক্ষার্থী বাবলু মিয়ার মোটরসাইকেল ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ এর ভ্যাক্সিন দিতে গিয়ে চুরি হয়।

গত ১২ জুলাই কোভিড-১৯ এর চতুর্থ ডোজের টিকা দিতে গিয়ে হাসপাতালে প্রবেশের ১২ মিনিট পর হাসপাতাল থেকে বের হয়ে দেখেন তার মোটরসাইকেলটি নেই। পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসপাতালে প্রবেশের ৮ মিনিটের মাঝেই মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট থাকায় চোরকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে বাইক চুরির চারদিন পার হয়ে গেলেও মামলা নেয়নি ত্রিশাল থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাবলু জানায়, “আমি মামলা করতে চাইলে আমাকে থানা থেকে বলা হয়েছে অজ্ঞাতনামা মামলা করে কি করবেন? পরবর্তীতে জিডি নিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো ত্রিশাল থানা পুলিশ।”

তিনদিনেও মামলা না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, “পুলিশ তো মামলা করবে না। ১৭ তারিখ এসে মামলা করতে পারবে।”

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরও জানায়, “আমি মোটরসাইকেল শনাক্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে ত্রিশাল থানার এস আই আনিস আমাকে বলেন, পুলিশের কাছে যাদুর চেরাগ নাই যে আপনার মোটরসাইকেল বের করে দিবে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করে নিয়ে আসেন। তারপর আমি আসামী ধরবো।”

এ ব্যাপারে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, “মোটরসাইকেল চুরি ঠেকানো তো আমার দায়িত্ব না।”

সামনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, “যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক ছিলো সেগুলোর ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনার দিন জানতে পারি সামনের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট। আমি সবসময় তো সব ব্যাপারে অবগত থাকিনা। আপনি থানায় যোগাযোগ করেন।”

মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যাওয়ার চারদিন পেরিয়ে গেলেও মামলা না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থান জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান জানান, “মোটরসাইকেল চুরি হলে সাধারণত থানায় মামলা নেয় না। তবে অভিযোগ বা জিডি গ্রহণ করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে এবং থানায় আমার কথা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।”

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.