বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে নিরাপত্তা সরঞ্জামের সাথে ওয়াকি-টকি যুক্ত করা হলো। এরফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি গেইটে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষাসহ টহল কার্যক্রম আরও কঠোরভাবে নজরদারির মধ্যে আনা সম্ভব হলো। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বিকেলে তাঁর অফিস কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে ওয়াকিটকি তুলে দেন এবং তাঁর অফিস থেকে গেইটে কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ওয়াকি-টকির শুভ উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পুরো ক্যাম্পাস সি.সি. ক্যামেরার আওতায় নিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার ব্যবস্থা করেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গেইটের মধ্যে সমন্বয় ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও নিরবিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে আজ থেকে ওয়াকি-টকি যুক্ত করা হলো। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওয়াকিটকি অত্যন্ত কার্যকর। মোবাইলে নাম্বার বের করে কল করতে হয়, আবার অনেক সময় নাম্বার ব্যস্ত থাকলে যোগাযোগ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু ওয়াকি-টকির ক্ষেত্রে একে অপরকে কল করা খুব সহজ ও মুহূর্তেই যোগাযোগ করা যায়।
তিনি আরও বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভয়ারণ্য গড়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ।
ওয়াকি-টকি হস্তান্তরকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, সহকারী প্রক্টর মো. মেহেদী তানজীর ও ফিরোজ সরকার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আজ চারটি ওয়াকি-টকি হস্তান্তর করা হয় তবে প্রয়োজনানুযায়ী ধাপে ধাপে এই সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
শাকিল বাবু/