বিনোদন ডেস্ক: ইতালিতে ধর্ষক কিংবা নিপীড়কদের বিশেষ রাসায়ানিক কেমিক্যাল প্রয়োগের মাধ্যমে নপুংসক করার মতো আইনকে বৈধ ঘোষণা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। দেশটির সেই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বলিউডের ডিম্পল গার্ল প্রীতি জিনতা।
এই অভিনেত্রী আহ্বান জানান যে, ভারত সরকারকে দেশে যৌন অপরাধ মোকাবেলায় অনুরূপ পদক্ষেপ নেবে। সম্প্রতি সময়ে ভারতে ধর্ষণ যে হারে বেড়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন প্রীতি জিনতা। ধর্ষণ প্রসঙ্গে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির পদক্ষেপের প্রশংসা করে ভারতেও সে রকম কঠোর আইন জারির আর্জি রাখলেন ‘সোলজার’ নায়িকা।
প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন ইতালীয় সরকার যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের রাসায়নিক প্রয়োগ করে যৌন ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ায় সায় দিয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থী প্রশাসনের নেতৃত্বাধীন ইতালি সরকার ২০২২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা কঠোর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ধর্ষকদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির আইন করছে দেশটির সরকার।
এমনই প্রস্তাবিত একটি আইন সম্পর্কে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে টুইট শেয়ার করে প্রীতি লিখেছেন, ‘কী দুর্দান্ত পদক্ষেপ! আশা করি ভারত সরকারও এরকম কিছু করবে। আপনার কী মনে হয় বন্ধুরা? এ ধরনের অপরাধের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বনের এখনই উপযুক্ত সময়।’
এদিকে নপুংসক করে দেওয়ার মতো একটি প্রস্তাব সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে। শীর্ষ আদালতে মামলাটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের মহিলা আইনজীবীদের সংগঠন। আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সেই আবেদনে।
যেখানে বলা হয়েছে, নারকীয় ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের যৌন ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হোক। এই আবেদন নিয়ে কেন্দ্রের রায় জানতে চেয়েছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ান।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময় পর প্রীতি রুপালি পর্দায় ফিরছেন। রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত লাহোর ১৯৪৭-তে দেখা যাবে তাকে। সানি দেওল ও আমির খানের প্রোডাকশনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘লাহোর ১৯৪৭’ ছবিটি গত অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। প্রবীণ অভিনেত্রী শাবানা আজমি এবং আলি ফজলও ১৯৪৭ সালের লাহোর ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন।