দেশের ৫২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন—এমন তথ্য উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণায়। শনিবার (০৮ এপ্রিল) শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত একাধিক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণা ফলাফলে দেখা যায়, ৫২ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক মানের থেকে কম, এর মধ্যে ৫ শতাংশের জীবনমান অনেক খারাপ। মূলত যাদের ভাই-বোন বেশি, যাদের বাড়িতে খাদ্য নিরাপত্তা কম, যারা বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং মানসিক চাপে ভুগছে—তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জীবনযাত্রার মান খারাপ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করে ভিসি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মানুষের অমূল্য সম্পদ। তাই সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। রোগ প্রতিরোধের উপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।’
অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক বলেন, প্রতি একশ’ জনে ৫২ জনের জীবনমান খারাপ থাকা অবশ্যই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত-জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে হবে এবং এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নীতিমালা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।