স্বৈরাচারী করে কোনো সরকার টিকে থাকতে পারে না। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন তার প্রমাণ। তাই হাসিনার পালানোর পরও যেসব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশে আছেন- তারা দুধ দিয়ে গোসল করে তওবা করে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিন। কারণ নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস পুরোনো। ৫ আগস্ট নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে যে নেত্রী পালিয়ে যায়, তার জন্য কান্নাকাটি করে লাভ কি? বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের কর্মীসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ আর রাজনিতি করতে পারবে না। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে প্রস্তাব এসেছে। তাছাড়া গণহত্যাকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিকতা হারিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ চায় দ্রুত নির্বাচন, কারণ দেশের জনগণ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তাদের নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই। তাই দেশের জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কাছে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চায়। নয়তো ষড়যন্ত্রকারীরা পুনরায় মাথাচারা দিয়ে অশুভ শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
খায়রুল কবির খোকন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাক বাহিনীরা যখন নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা করেছিল, তখন ৩২ নাম্বারে বসে শেখ মুজিবও সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন। তাদের পালানোর আর বিএনপির বিজয়ের ইতিহাস রয়েছে। আওয়ামী লীগের দোষররা যদি পুনরায় বাংলাদেশে আসতে চায় বাঙ্গালিরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।