The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫

দুদক সংস্কারে বিতর্কিত চাকরিবিধির ধারা বাতিলের সুপারিশ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে ৪৭ দফা সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এ বিষয়ে গঠিত কমিশন। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনে সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় আঙ্গিকে ১১ দফা ও দুদক সংস্কারে ৩৬ দফাসহ সর্বমোট ৪৭ দফা সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করেছে কমিশন।

আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করতে যাচ্ছে কমিশন।

সুপারিশের মধ্যে রয়েছে বিতর্কিত চাকরিবিধির ধারা বাতিল, কমিশনের মেয়াদ কমিয়ে চার বছর, নিজস্ব প্রসিকিউশন ইউনিট গঠন ও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজস্ব লোকবল পদায়ন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করারও সুপারিশ করা হয়েছে। দুদক সংস্কার কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

দুদককে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবনার লক্ষ্যে গত বছরের ৩ অক্টোবর আট সদস্যের দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের প্রধান করা হয় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানকে।

কী আছে বিতর্কিত ৫৪ এর ২ ধারায়
দুদকের বিধিমালার ৫৪ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই বিধিমালায় ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দর্শাইয়া কোনো কর্মচারীকে ৯০ দিনের নোটিশ প্রদান করিয়া অথবা ৯০ দিনের বেতন নগদ পরিশোধ করিয়া তাহাকে চাকরি হইতে অপসারণ করিতে পারিবে।’২০২২ সালে এই ধারার মাধ্যমে অপসারণ করা হয় দুদকের আলোচিত কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিনকে। সে সময় এই ধারা প্রত্যাহারে পদক্ষেপ চেয়ে দাবি জানায় দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডিইউএসএ)।

২০০৪ সালে দুদক গঠনের পর এই আইনে কাটা পড়েছেন একাধিক কর্মকর্তা। যারা দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.