দুই বেরোবি কর্মকর্তার অবৈধ পদোন্নতি, গঠিত হলো তদন্ত কমিটি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে পদোন্নতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ দুটির জন্য একটি তথ্যানুসন্ধানে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশ নামায় উল্লেখ করা হয়েছে, বেরোবির ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার খন্দকার গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে অভিজ্ঞতা ও নিয়োগপত্র জ্বাল করাসহ অসদুপায় অবলম্বন করে পদোন্নতী নিয়ে সিনিয়রিটি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একাডেমিক শাখায় কর্মরত অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (পিএস টু ভিসি) মো. আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অবৈধভাবে পদোন্নতি বাগিয়ে নেয়া, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে আহ্বায়ক, জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তামান্না সিদ্দিকা এবং ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালককে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ সম্পর্কে ইউজিসি’কে দুদক পত্র দিয়েছে। ওই পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বেরোবির রেজিস্ট্রারকে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বক্তব্য লিখিত আকারে দশ কার্যদিবসের মধ্যে ইউজিসিকে প্রদান করার জন্য চিঠি দিয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠন ও ইউজিসির দেয়া পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।