গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য পালকিতে করে নববধুকে নিয়ে আসতে রওনা হয়েছে চার বেহালার পালকি। হারিয়ে যাওয়া এমন ঐতিহ্য দেখায় মেলে না। এমন দৃশ্য দেখা গেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা এলাকায়। বর জাকারিয়া সরকার স্ত্রীকে বরণ করতে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন। দাদার ইচ্ছে পুরনেই এমন ব্যতিক্রমি আয়োজন। যা দেখে এলাকার মানুষজন যেমন হয়েছেন অবাক তেমনি পেয়েছেন আনন্দ।
প্রতিবেশিরা বলেন, পালকি আবহমান গ্রাম বাংলার একটি পুরনো ঐতিহ্য। এই যুগে বিয়েতে সচরাচর বাস-মাইক্রোবাস, হেলিকপ্টারসহ আধুনিক বাহন দেখা যায়। কিন্তু এই বিয়েতে পালকি দেখে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি। বিষয়টি সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
জানা যায়, বর জাকারিয়া সরকার উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান সরকারের বড় ছেলে। এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে জাকারিয়া বড়। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকত্তোর পাস করে এখন বাবার ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন। কনে ফাতেমাতুজ জোহরা পিয়ার বাড়িও একই এলাকায়। তিনি ব্যবসায়ী আবু জেয়াদ আজাদ বিপ্লবের মেয়ে। পিয়া হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। শনিবার বিকেলে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
কনের বাবা আবু জেয়াদ আজাদ বিপ্লব বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে পালকি রাখার বিষয়ে দুই পরিবারের সম্পূর্ন সম্মতি ছিল। তাছাড়া পালকিতে করে কণেকে নিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য। বর্তমান প্রজন্ম তো পালকির নামটাই জানে চোখে দেখেনি। গ্রাম বাংলার হারানো সেই ঐতিহ্য লালন করতেই আমাদের এই উদ্যোগ।
বর জাকারিয়া সরকার বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে আমার দাদা ওসমান আলী সরকার মারা গেছেন। দাদার ইচ্ছে ছিল একমাত্র নাতির বিয়ে হবে পালকিতে চড়ে। দাদার ইচ্ছে পূরণ এবং হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখতে, ফিরিয়ে আনতে মূলত এই আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।