পাবিপ্রবি প্রতিনিধি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষীপুর জেলার ১০০০ বন্যার্ত দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে তারা।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২ টায় এক ট্রাক উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) নিয়ে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল। ১৮ ঘণ্টা পর গন্তব্যে পৌঁছেছেন বলে জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন ।
উপহার (ত্রাণ) হিসেবে প্রত্যেক পরিবারের হতে তুলে দেয়া হবে চাল, ডাল, তেল, সুজি, বিস্কুট, খেজুর, গুড়, চিনি, মুড়ি, চিড়া, পর্যাপ্ত শুকনা জামা-কাপড়, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি, লাইটার, লবণ । এ ছাড়াও কয়েক প্রকারের বিভিন্ন ওষুধ ও স্যানিটারি ন্যাপকিন সহ পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো কাপড় বন্যা দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
প্রথম বারের মতো এত বড় উদ্যোগ নিলো পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের সকলেই। শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ সকলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এই উদ্যোগ কে পাবিপ্রবির জন্য বড় অর্জন আখ্যা দিয়ে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, আমাদের ছেলেরা নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় উপহার সামগ্রী বিতরণ করবে। আমরা শুনেছি ওই এলাকা গুলোর মানুষদের রান্না করে খাওয়ার মত অবস্থা নেই। তাই আমাদের শিক্ষার্থীরা শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করেছে। যা প্রায় এক হাজার পরিবারকে দিতে সক্ষম হব বলে আশা করছি। বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমাদের এই ছেলেগুলোর জন্য গর্ব হচ্ছে। আমি চাই এমন ভালো কাজের ধারা তারা যেন অব্যাহত রাখে।
এই উদ্যোগের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন বলেন, সবার কাছে আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। অনলাইন-অফলাইন মিলে কয়েকদিনে আপনারা প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আমাদের দিয়েছেন। আমাদের দায়িত্ব এখন তাদের আমানত বন্যায় দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সবাই বন্যার সময়টুকুই নিয়ে ভাবেন। আমরা বন্যার পরবর্তী সময় নিয়েও ভাবছি, সেই খারাপ সময়েও আমরা কাটিয়ে উঠবো আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের একটি টিম ইতিমধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকায় পৌঁছেছে। আমাদের কাজ শেষ হয়নি, চলমান রয়েছে। আমাদের কাছে এখনো ফান্ডিং রয়েছে যা বন্যা পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন, উত্তরাঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকার জন্য ব্যয় করা হবে। পাবিপ্রবিতে এই প্রথম সবার অংশগ্রহণে একটি গঠনমূলক কাজে অংশ নিতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি।
উল্লেখ্য, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবাই এক হয়ে কাজ করছে। একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে গণত্রাণ সংগ্রহ করছেন এবং বাকি টিম ফেনী, খাগড়াছড়ি ও পাইকগাছার পানিবন্দি মানুষেরের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে।