তুরস্কে সংগঠিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ২ হাজার ৯২১ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছে এক হাজার ৪৪৪ জন। তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৬৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর এলাকায় হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছেন। তারা সবাই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যেতে চান।
স্থানীয়দের বরাতে বিবিসি বলছে, তারা ভূমিকম্পের পর সাহায্য করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে যাওয়ার জন্য জড়ো হয়েছেন। অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে চেয়েছেন। সেখানার উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য তারা ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে ভিড় করছেন। তবে, বিবিসি যাচাই করতে পারেনি যে ছবিতে দেখা যাওয়া সবাই স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আশা করছে কি-না। তবে, ভিড়ের মাত্রা অবশ্যই অস্বাভাবিক।
১৯৯৯ সালে একই মাত্রার একটি ভূমিকম্প পূর্ব মারমারা সাগরতীরে ইস্তাম্বুলের কাছে আঘাত হানলে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে, সোমবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর আরো অন্তত ৭৭টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। আবার দুপুরের দিকে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল তুরস্কে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুরস্ককে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের বহু দেশ সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।