তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘তাদেরকে বলবো ধৈর্য ধারণ করতে। তাদের প্রতিও সরকার আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল। কিন্তু এই মুহূর্তে হয়তো অনেক কিছু করা সম্ভব না। তাই জনভোগান্তি না করে সেই বিষয়টা ও মাথায় রাখা উচিত। আশা করি ভালো কিছু হবে।
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টি সংবেদনশীল, শিক্ষার্থীরা যখন যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিল, মানুষ কিন্তু সমর্থন করেছিল। যেকোনো আন্দোলনের ক্ষেত্রে মানুষের সমর্থনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে কোনো যৌক্তিক দাবির প্রতি ইতিবাচক এবং তা পূরণ করার চেষ্টা করা হয়। নাহিদ বলেন, সাত কলেজের সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে একটি জটিল সমস্যায় পরিণত হয়েছিল। বিগত সময়ে শিক্ষা বিষয়ক একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবনে একটি প্রভাব পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রথম থেকে সাত কলেজের সমস্যাটি সমাধান করতে সচেষ্ট। ৭ কলেজের প্রত্যেকটি কলেজকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। সেটি হয়তো ইতিবাচক কোনো কিছু বয়ে আনবে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ৫ আগস্টের পর প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি রিকশাওয়ালা সেজে এসেছিল। পরে বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের সাথে তাদের ছবি দেখা গেছে।
ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করেও আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা আছে মন্তব্য করে আসিফ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় না আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই তাদের মতাদর্শ বা নাম নিয়ে আবার ফিরে আসুক। কারণ এটা বাংলাদেশের সকল জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। সেই জায়গা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও সতর্ক আছে। এ পর্যন্ত তাদের অনেক চেষ্টা থাকার পরেও তারা সফল হয়নি আশা করি কোনো বিশৃঙ্খলা তারা সৃষ্টি করতে পারবে না।