মেহেরপুরে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। কনকনে ঠাণ্ডা ও হিমেল হাওয়াতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় বিদ্যালয়গামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও পড়েছে বিপাকে।
আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টা ও ৯টার সময় মেহেরপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা বিচারে এটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
তবে এ নির্দেশনা মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি মেহেরপুর জেলায়। কারণ হিসেবে অনেকেই প্রজ্ঞাপনে অস্পষ্টতা, জেলাতে আবহাওয়া অফিস না থাকা এবং মোবাইল অ্যাপসের ওপর নির্ভরতা এর প্রধান কারণ বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) গতকাল মঙ্গলবার বলেছিল, যেসব জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে, সেসব জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হবে।
আবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে কোনো জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রির নিচে নামে, সেক্ষেত্রে সেই জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও বন্ধ হয়নি মেহেরপুরের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।