ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আখলাকুজ্জামান অনিকের ওপর হামলাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এই দাবি জানিয়ে বুধবার (৬ এপ্রিল) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে উপাচার্য বলেন, এ ধরনের ঘটনাকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটিকে শক্তভাবেই দেখবে। হল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠালেই আমরা সেটি শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠাবো।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানান, হামলাকারীরা অনিককে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে। তাকে গালাগালি করে। একই সাথে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে বেধরক পেটায়। তার মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে হামলাকারীরা চলে যায়। পরবর্তীতে বিভাগের শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় অনিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে মাথায় আটটি সেলাই করতে হয়েছে।
এতে বলা হয়, অনিকের রুমমেট ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রাজিব আহমেদ তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। স্বাধীনতা দিবসের রাতে একজন শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ হয়ে এভাবে মারধরের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ খুঁজে দেখা দরকার।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িতদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দালিলিকভাবে প্রমাণিত এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের উদাত্ত আহবান তারা যেন এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ বিজয় একাত্তর হলে অনিক ও তার রুমমেট রাজিবের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই হলের ৬ শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি। অভিযুক্ত ৬ জনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তারা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীব ও ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।