ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রকে পেটানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৯ জন ছাত্রের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতাপরিচয়ের আরও ৬-৭ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রের মা।
রোববার (২৬ মার্চ) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খান।
অভিযোগপত্রে তিনি বলেছেন, তার ছেলে জোবায়েরকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্টাম্প, রড, বেল্ট ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে অভিযুক্তরা। এতে মাথা ও চোখে গুরুতর জখম হয় সে। ছিঁড়ে যায় ডান পায়ের লিগামেন্ট। মারধরের সময় জোবায়েরের বন্ধুরা তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও এলোপাতাড়ি পেটান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। প্রাণনাশের হুমকিসহ দেখানো হয় ভয়ভীতি। মারধরে জোবায়ের চেতনা হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে জোবায়েরকে তার বন্ধুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
লিখিত অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ছাত্র তবারক মিয়াকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। নাম উল্লেখ করে আরও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তারা হলেন- একই হলের ছাত্র সিফাত সাহিল, ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে সাকিব, মো. শোভন ও সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ ওরফে সাইদ, সূর্যসেন হলের ফারহান লাবিব, মুহসীন হলের অর্ণব খান ও আবু রায়হান, কবি জসীমউদ্দীন হলের নাঈমুর রহমান ওরফে দুর্জয়, সাদ, রহমান জিয়া, মোশারফ হোসেন, জহুরুল হক হলের হেদায়েত নূর, মাহিন মনোয়ার, সাদমান তাওহিদ ওরফে বর্ষণ ও আবদুল্লাহ আল আরিফ, জগন্নাথ হলের প্রত্যয় সাহা ও জয় বিশ্বাস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ফেরদৌস আলম ওরফে ইমন।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলের সামনে ওই ছাত্রকে পেটান অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী জোবায়ের স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্র ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। অভিযুক্ত ছাত্ররাও একই বর্ষের।