হামদর্দ ইনস্টিটিউট অব ইউনানি অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক মেডিসিনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চিকিৎসা অনুষদে অধিভুক্ত করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণেই আজ এই খাত বিপুল সাফল্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী ইশতেহারেও এই খাতের অগ্রগতি ও বিকাশে উদ্যোগ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফ্যাকাল্টির অধীনে ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিসিনকে যুক্ত করায় ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা এখন মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করল। এই সিদ্ধান্তের ফলে হামদর্দ ইনস্টিটিউট অব ইউনানী অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ছাড়াও সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ মিরপুর, সরকারি হোমিও মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে রওশন জাহান ইস্টার্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লক্ষ্মীপুর চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং হামদর্দ ইউনানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বগুড়া, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়। কলেজ দুটির ব্যাচেলর অব ইউনানী মেডিসিন সার্জারি বিইউএমএস প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন এখন থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বাংলাদেশে ৩টি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মধ্যে একটি সরকারি। অপর দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের কিংবদন্তি শিল্পোদ্যোক্তা ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত।
একটি লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, অন্যটি বগুড়ায় অবস্থিত হামদর্দ ইউনানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এর ফলে ঢাকার বাইরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষও ইউনানী-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষার সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে।