The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

ঢাবির হলগুলোতে বেড়েছে সর্দি-কাশি ‘রুমমেটরা আতঙ্কিত হতে পারে, তাই অনেকে টেস্ট করাচ্ছে না’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ‘সর্দি-কাশি’তে ভুগছেন। করোনার প্রাথমিক লক্ষণ হলেও শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই বিষয়টিকে দেখছেন সিজনাল ফ্লু হিসেবে। হল প্রশাসন বলছে করোনা টেস্ট করাচ্ছে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা হাতেগোনা।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি সর্দি-কাশির চিকিৎসা নিতেই আসছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী।

স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী আবদুর রহিম বলেন, ‘কয়েকদিন হালকা সর্দি-কাশি। ডাক্তার দেখাইনি। প্যারাসিটামল খাচ্ছি। করোনা তো এখন সিজনাল ফ্লু হয়ে গেছে। তাই আর আতঙ্কে নেই। যতটুকু পারছি স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছি।’

আরেক শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘সর্দি-কাশি শীতকালে এমনিতে সবারই হয়। এ জন্য হলেই আছি। করোনা টেস্ট বাড়তি ঝামেলা মনে হচ্ছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শামসুন্নাহার হলের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বললেন, ‘হলে অনেকেরই সর্দি-কাশি রয়েছে। সবাই বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছে। রুমমেটরা আতঙ্কিত হতে পারে, তাই অনেকে টেস্ট করাচ্ছে না। আবার, যার পজিটিভ আসবে, তাকে তো আইসোলেশনে থাকতে হবে।’

হলের শিক্ষার্থীরা করোনা টেস্ট কেমন করাচ্ছে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, ‘করোনা টেস্ট করাচ্ছে খুবই কম। তবে এখন পর্যন্ত কোনও শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে হলে অবস্থান করছে বলে আমাদের জানা নেই। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাস্ক ব্যাবহার নিয়ে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। সর্দি-কাশিকে তারা সিজনাল ফ্লু হিসেবেই দেখছে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে তাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।’

শামসুন্নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক লাফিফা জামাল জানান, ‘হল প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। অনেকেরই জ্বর-সর্দি-কাশি আছে। কেউ কেউ টেস্ট করাচ্ছে। যাদের পজিটিভ আসছে তারা বাড়িতে চলে যাচ্ছে। পজিটিভ হওয়ার পর হলে আছে এমন শিক্ষার্থী নেই।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.