The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

ঢাবির সেই রনি এখন চা বিক্রেতা: বলছেন আত্মশুদ্ধির আন্দোলন

বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। মহিউদ্দিন রনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এর আগে গত এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করে আলোচনায় আসেন এই শিক্ষার্থী।

আবার তাকে এক ভিন্ন রূপে দেখা গেলো ঢাবি ক্যাম্পাসে। শুরু করেছেন নতুন এক ব্যবসা। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিনি এখন ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করছেন। এই ব্যবসাকে তিনি বলছেন আত্মশুদ্ধির আন্দোলন এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যম।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ডাস চত্বরে ‘এখানে চা মূল্যে চিন্তা ক্রয়-বিক্রয় করা হয়’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে চা বিক্রি করতে দেখা যায় মহিউদ্দিন রনিকে। তিনি জানিয়েছেন তার চা বিক্রেতা হয়ে ওঠার গল্প।

মহিউদ্দিন রনি বলেন, শুরুটা করেছিলাম মূলত প্রয়োজন থেকে। আন্দোলনের পর আমি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে যাই। এসময় অনেকে এগিয়ে আসতে চায় এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে চায়। কিন্তু দেখা যায় সেগুলো আমার নৈতিকতার সঙ্গে যাচ্ছে না। এগুলো থেকে বাঁচার জন্য আমার কিছু না কিছু করতে হতো, তাই নিজে একটা ব্যবসা শুরু করলাম।

এটিকে আত্মশুদ্ধির আন্দোলন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা কোনো সাময়িক ক্যাম্পেইন বা নিছক মজার উদ্দেশ্যে নয়। আত্মশুদ্ধির আন্দোলন, ক্ষুধামন্দা দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সৎ উপায়ে উপার্জনের লক্ষ্যে ব্যবসাটা শুরু করেছি।

অন্য কারো বিরুদ্ধে আন্দোলন করার আগে, আঙুল তোলার আগে নিজেকে ভালো হতে হবে। আমি চাই না লোভে পড়ে যেতে, আমি চাই না পা পিছলে পড়ে যেতে। তাই আগে নিজে আত্মশুদ্ধির আন্দোলন করছি। আর এই কাজটাও আমার আত্মশুদ্ধি আন্দোলনের একটি অংশ। পাশাপাশি ক্ষুধা থেকে মুক্তি চাইছি, স্বাবলম্বী হতে চাইছি।

রনি বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে শিখিয়েছে জনগণের টাকা মেরে খাওয়ার চাইতে রিকশা চালানো সম্মানের, জুতা সেলাই করা সম্মানের, চা বিক্রি করা সম্মানের। আর আমি সেটাই করছি, আমি এখানে দোষের কিছু দেখছি না। যারা আমার কাছে কুপ্রস্তাব নিয়ে এসেছিল তারা যেন আর না আসে, সেজন্য আমি এই কাজ শুরু করেছি।

চায়ের ব্যবসা উপভোগ করছেন জানিয়ে রনি বলেন, আমার মনে হয়, চায়ের ব্যবসাটা বেশ ভালো, বেশ সুন্দর। আমি খুব উপভোগ করছি। গত এক মাস ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করছি। একদিন আগে আমার ১ হাজার কাপ চা বিক্রি হয়েছে, তারপর আমি ফেসবুকের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছি। সবাই বিষয়টিকে ভালোভাবে গ্রহণ করছে। তবে সমালোচনাও হচ্ছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.