ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবহৃত ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ প্রত্যাহার এবং নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি আমাদের দেশীয় শব্দ নয়। এমনকি বাংলা একাডেমির কোনো অভিধানে কোথাও ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটির উল্লেখ নেই। তবে হিজড়া শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে hermaphrodite ও eunuch এর উল্লেখ থাকলেও এগুলো ব্যতীত অন্যকোনো শব্দের উল্লেখ নেই। একটি বিতর্কিত শব্দকে কেন ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে যুক্ত করা হলো তা- বোধগম্য নয়। ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এই শব্দ সংযুক্তির মাধ্যমে দেশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উপর আঘাত করা হয়েছে। দেশজ সংস্কৃতি রক্ষায় শব্দটি প্রত্যাহার করা অত্যন্ত জরুরি।
২০২১-২২ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, হিজড়াদের কোটা থাকা যুক্তিযুক্ত। ট্রান্সদের কোটা দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই৷ নিজেদের বিকৃত করে কোটার দাবিদার হওয়া যায় না। উপাচার্য বলেছেন ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দ্বারা হিজড়াকে বুঝানো হয়েছে, কেন সমার্থক শব্দ থাকলেও হিজড়া শব্দের পাশে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ উল্লেখ করতে হবে? এর মাধ্যমে সমকামিতার বীজ আমাদের মাঝে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই শব্দকে প্রমোট করা হলে অনেকেই এই পথে হাঁটা শুরু করবে। যা দেশে মহামারির আকার ধারণ করবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ট্রান্সজেন্ডার শব্দ অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দ্বারা ‘হিজড়া’ সম্প্রদায়কে বুঝানো হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।