ঢাবি প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কেয়ার টেকার রবিউলের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসের হাতে এই সংক্রান্ত অভিযোগটি আসে। অভিযোগের অনুসন্ধানে জানা যায় কেয়ার টেকার রবিউল সিস্টেমের চাপে পরে এসব কাজ করেছেন। অভিযুক্ত নিজে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
জানা যায় বঙ্গবন্ধু হলের প্রাক্তন প্রভোষ্ট অধ্যাপক ড. আকরাম হোসেন দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি হলের উন্নয়নের টাকা অর্ধেক খরচ করেছেন। আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে রবিউল আলম কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, টাকা পয়সা যা এদিক সেদিক হয়েছে সেটা প্রভোষ্ট স্যারের নির্দেশে ও সিস্টেমের চাপে পড়ে করেছি।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রাক্তন প্রভোষ্ট কে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু হলের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার জবান আলী বলেন, আমাদের প্রভোষ্ট স্যার অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি কখনোই এই কাজ করতে পারেন না। রবিউল স্বেচ্ছাসারী মানুষ। তিনি নিজের মতো অফিস সময়টাকে ব্যবহার করেন। কারো কাছে জবাবদিহি করেন না। এমনকি তিনি কয়েকজন শিক্ষকের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে জানা যায়।
আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের হাউজ টিউটর অধ্যাপক ড.সাইফুল হক দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসকে বলেন, রবিউল দোষী কি দোষী না এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি সেখানে যদি সে দোষী প্রমাণিত হয় আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
নাম না প্রকাশ করা শর্তে একজন শিক্ষক বলেন
রবিউলের কথা বার্তা আচার ব্যবহার এমন ছিল যে তিনি নিজেকে হলের প্রভোষ্ট মনে করতেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হলের ৩০-৩২ জন কর্মচারী কেয়ার টেকার রবিউলের বিরুদ্ধে অসাদাচারণ ও আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে হলের প্রভোষ্ট অধ্যাপক ড.শামছুল আলম বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
অভিযোগপত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোষ্ট কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগপত্র টি দেখেছি। আমরা কমিটিও গঠন করেছি। সে দোষী কি নির্দোষ সে বিষয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।