The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

ঢাবিতে ৩৫ আন্দোলনকারীদের ‘বৃহৎ সমাবেশ’ আজ

সরকারি চাক‌রিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ ও মু‌ক্তি‌যোদ্ধা কোটায় ৩৭ বছর করতে সরকারের প্রতি শিক্ষার্থীদের দেওয়া আল্টিমেটাম শেষ হচ্ছে আজ শনিবার (১১ মে)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আজ ‘বৃহৎ সমাবেশ’ আহবান করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গণমাধ্যম বিষয়ক সংগঠক খাদিজা খাতুন মুক্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অবশ্য গত বুধবার ও শুক্রবার পৃথক পৃথক কর্মসূচি থেকে আগামীকালের কর্মসূচির বিষয়ে আগেই জানিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন যাবত চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি চায়। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন। সে ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে দাবি বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দাবি বাস্তবায়নে শনিবার (১১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।

এছাড়া উপস্থিত থাকবেন ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর শরীফ, মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসরাত অরচি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।

৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয়ক পরিষদের মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফুল হাসান শুভ বলেন, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এটা নির্ধারণ করতে হবে। এ দাবি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন থেকে লাগাতার কর্মসূচি করে আসছি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশের সকল পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে তার অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ বিশেষ ধাপ অতিক্রম করছে। কিন্তু চাকরি আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.