দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতির মুখে সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সশরীরে ক্লাস বন্ধ হলেও সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে বিভাগগুলো। এছাড়া হল এবং অফিস খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি বলেন, জাতীয় সিদ্ধান্তের সাথে মিল রেখে আমাদের ক্লাস বন্ধ আছে। তবে সেশনজট ও শিক্ষাকার্যক্রম সচল রাখতে ক্লাস কার্যক্রম অনলাইনে, পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে নিতে পারবে বিভাগগুলো। আবাসিক হল যেভাবে চলছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেভাবে চলবে।
উপাচার্য বলেন, এখন আমাদের অফিস কার্যক্রমও ৩টা পর্যন্ত চলছে। প্রয়োজনে সেটাও আমরা বাড়িয়ে দেব। ল্যাব, প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস এবং যেটা অনলাইনের চেয়ে প্রত্যক্ষ জ্ঞানে শিক্ষার্থীদের সহায়তা হয়। সেসব ছোট ছোট ক্লাসও সশরীরে হবে।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি জাতীয় সিদ্ধান্তের আলোকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খোলা থাকবে বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত ৪ অক্টোবর থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ৫ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় শতভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ইতমধ্যে দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন। এছাড়া বুস্টার ডোজের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির উর্ধ্বগতি ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বুস্টার ডোজ প্রদানে অগ্রাধিকার চেয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বুস্টার ডোজ প্রদানে অগ্রাধিকার চেয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।