শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক সভায় এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকদের গুলিতে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং আত্মোৎসর্গকারী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি:
১৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ১৫মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত, সকাল ৬টা ৩৫মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণের কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণের স্মৃতিসৌধ ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
সকাল ১১টায় উপাচার্যের সভাপতিত্বে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত এবং শান্তি কামনায় দোয়া/প্রার্থনা করা হবে।
মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি:
১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা। সকাল ১০টা থেকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। বিকেল ৪টা ১০মিনিটে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাবি ও ছায়ানটের যৌথ উদ্যোগে সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিটে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের ব্যবস্থাপনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহান ভাষা আন্দোলন এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কিত প্রামাণ্যচিত্র, তথ্যচিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শিত হবে। এছাড়া হল প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল এবং আবাসিক এলাকার মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে কলা ভবন, কার্জন হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ও স্মৃতি চিরন্তনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।