ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ৭টি প্রবেশ পথে বসেছে বেরিয়ার এবং সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স বক্স। এর মধ্য দিয়ে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে ঢাবি ক্যাম্পাসে রিকশা ও বহিরাগত যানবাহন প্রবেশ একেবারেই সীমিত হয়েছে।
এই বিষয়ে ঢাবির প্রক্টর সহযোগী সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল ক্যাম্পাসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা। ক্যাম্পাসে রাস্তা ব্যবহার করলে দ্রুত সময়ে মানুষ তার গন্তব্যে যেতে পারে দেখে অনেকেই এই রাস্তা ব্যবহার করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ভিসি চত্বর, শহীদ মিনার এলাকায় অনেক সময় দীর্ঘ জ্যাম লেগে থাকে। অনেক গাড়ির আনাগোনা থাকায় মাঝে-মধ্যে দুর্ঘটনা ও ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে চলাফেরা বিঘ্নিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটি যেহেতু সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা তাই আমরা একেবারেই তা বন্ধ করে দিতে পারিনা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহ বসে আমরা নির্দিষ্ট একটি সময় ঠিক করে দিব। যে সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়িগুলো ক্যাম্পাসের রাস্তা ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবে।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, পলাশীর মোড়, নীলক্ষেত মোড়, শহীদ মিনার, শাহবাগ, শহীদুল্লাহ হল, হাইকোর্ট মোড় এবং শিববাড়ি ক্রসিং মোড়ে বেরিয়ার বসানো। এ সব রাস্তা দিয়ে একেবারেই সীমিত যানবাহন চলাচল করছে। ক্যাম্পাসের স্টিারযুক্ত গাড়ি ছাড়া কোনো যানবাহন প্রবেশ করছেনা।সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা যায়, টিএসসি, ভিসি চত্বর, শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর এলাকায় রিকশা চলাচল ও সীমিত। বন্ধের দিনগুলোতে এসব এলাকায় আগে যদিও অনেক রিকশার আনাগোনা ছিল ,শুক্রবার তা ছিল না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব ভূঁইয়া বলেন, দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো লাগছে। মানুষের আনাগোনা ও তীব্র যান চলাচলের কারণে আগে বন্ধের দিনে হল থেকেই বের হতে ইচ্ছে হতো না। কিন্তু আজ এই পরিবেশ দেখে ভালো লাগছে। জানি না কতদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সব সময় এমন কঠোর থাকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সে সময় তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে স্টিকারবিহীন গাড়ি, গণপরিবহন ও ভারি যানবাহন চলাচল এবং বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসব বেরিয়ার এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে এসব বেরিয়ার এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।