শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ বাঙালী জাতীর কাছে অবিশ্মরণীয় এক দিন। এই দিনে অর্জিত হয় আমাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বর্ণ্যঢ্য বিজয় র্যালির আয়জন করা হয়।
বিজয় র্যালিতে অংশগ্রহণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মহান বিজয়ের মাসকে আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মাস হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন। তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং এই চেতনাকে তাদের মাঝে সর্বদা জাগ্রত রাখতে হবে।
মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আজ ০১ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি শেষে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য এ কথা বলেন। অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ সম্মুখস্থ রাস্তায় বেলুন উড়িয়ে উপাচার্য বর্ণাঢ্য এই র্যালির উদ্বোধন করেন। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে র্যালিটি সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এই বিজয় র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহিদ, মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত মা-বোনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্য উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রতি আহবান জানান।
সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় সংগীত ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করা হয়।