ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে শ্রেণি প্রতিনিধি (সিআর) নির্বাচন করেছে। বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আয়োজন করে এ নির্বাচনের। জাতীয় নির্বাচনের আদলে তারা নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। নির্বাচন পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে প্রার্থীদের।
এমনকি প্রার্থীরা পোস্টার তৈরি করে ভোট চেয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালান। নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থী বন্ধুদের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহারও ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে ‘খ’ সেকশনের ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শেষে বেলা ১২টার পর ফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মীর হৃদয়। প্রধান পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. তাসনীম সিদ্দিকী।
কমিশন নির্বাচনের নিয়মকানুন মেনে নির্বাচন পরিচালনা করেন। নির্বাচনে প্রার্থীরা পোলিং এজেন্টও নিয়োগ করেছিলেন। গোপন ব্যালটে সিল মেরে ভোট দেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ভোটে দু’জন শ্রেণি প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি দারুণ সাড়া ফেলেছে। শ্রেণি কক্ষেও গণতন্ত্রের এমন চর্চা বিভিন্ন মহলে প্রসংশা কুড়িয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভোটের মাধ্যমে শ্রেণি প্রতিনিধি নির্বাচন পড়ুয়াদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তৈরি করে। শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক চর্চায় উৎসাহিত হয়। এ নির্বাচন অনান্য শিক্ষার্থীদেরও গণতান্ত্রিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।