ইবি প্রতিনিধিঃ গত ২৮ আগস্ট সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন সহ ১৮৩ বিশ্বনেতৃবৃন্দের বাংলাদেশের নোবেলবিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে চলমান মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিতের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে খোলা চিঠি দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট (ইবি)।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনসহ ১৮৩ জন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সম্মানিত সদস্যের একটি বিবৃতির মাধ্যমে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর এমন অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একটি দেশের অভ্যন্তরীণ আদালতে চলমান বিচার বাধাগ্রস্ত করা আন্তর্জাতিক আইন এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন তথা সংবিধানের পরিপন্থি এবং আদালত অবমাননার শামিল। চলমান মামলার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে এ ধরনের একপাক্ষিক বিবৃতি প্রদান অন্য বিচার প্রার্থীদের জন্য বৈষম্যমূলক।
আরো বলা হয়, তাঁদের মত বিজ্ঞজনদের এ ধরনের বিবৃতি অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্খিত এবং শ্রমজীবি মানুষের আইনসঙ্গত অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে নেতিবাচক উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বাংলাদেশ শ্রমিকদের কষ্টার্জিত ন্যায্য পাওনা যথাসময়ে পরিশোধে বদ্ধপরিকর । আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদেশী পত্রিকায় বিজ্ঞাপনে অর্থ খরচ না করে নিজ দেশের শ্রমিকদের কষ্টার্জিত পাওনাদি অনতিবিলম্বে পরিশোধের অনুরোধ করছি।
বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ জানিয়ে আরো বলা হয়েছে, চিঠিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, তা স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল বলে আমরা মনে করি। এ-ধরনের বিবৃতির পেছনে গোপন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।