বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিজ জনসন দৈনিক পত্রিকা ডেইলি মেইলে কলামিস্টের চাকরি পেয়েছেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ডেইলি মেইল। পাঠকদের আকৃষ্ট করতে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি বরিসকে পছন্দ করুন কিংবা না করুন— এটা (বরিসের কলাম) আপনাকে পড়তে হবে। এখন থেকে প্রতি শনিবার পত্রিকাটির জন্য কলাম লিখবেন তিনি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়ে ইতোমধ্যে লাখ লাখ পাউন্ড উপার্জন করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র প্রতিনিধির পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু সাংবাদিকতার মাধ্যমেই। ১৯৮৭ সালে টাইমস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি; কিন্তু কোনো এক প্রতিবেদনে মনগড়া মন্তব্য দেওয়ার কারণে সেই চাকরি হারাতে হয় তাকে।
তারপর বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ ও দ্য স্পেকটেটরে প্রতিবেদক ও কলামিস্টের কাজ করেছেন তিনি। ২০০১ সালে কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দেন বরিস। ওই বছর এমপিও হন তিনি। তারপর থেকে সংবাদপত্রে তার ব্যস্ততা কমতে থাকে।
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে পরিচিত ও বিভাজন সৃষ্টিকারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে নাম কুড়িয়েছেন ৫৮ বছর বয়সী বরিস জনসন। করোনা মহামরির বিধি ভঙ্গ করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ বিভিন্ন বাসভবনে বন্ধু-বান্ধবসহ বেশ কয়েকবার মদ-পার্টি আয়োজনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর সরকার ও বিরোধী দলের এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন বরিস।
বরিস জনসন ইসলামভীতিতেও (ইসলামোফোবিয়া) ভোগেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকতায় থাকার সময় তার লেখা বিভিন্ন কলামে সেই দৃষ্টিভঙ্গীর প্রকাশ ঘটেছে এবং সেসব অনেক বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে। একবার ডেইলি টেলিগ্রাফে এক কলামে তিনি লিখেছিলেন, বোরকা পরা নারীদের দেখলেই তার ব্যংক ডাকাতদের চিঠির বাক্সের কথা মনে পড়ে যায়। এই কলামের কারনে সে সময় যুক্তরাজ্যে তার বেশ সমালোচনা হয়েছিল।