ডিআইইউ প্রতিনিধিঃ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নতুন আবাসিক হলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। হলের চতুর্থ তলার ৪০৬ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একটি ল্যাপটপ ও ৪ টি মোবাইল সেট চুরি হয়। এর এক সপ্তাহ আগেও এ হলে চুরির ঘটনা ঘটে৷
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ভোর ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে৷ চুরির ঘটনার পর হনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মারজুক বলেন, রাতে পড়াশোনা করে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম আমরা।সকাল ৬ টার দিকেও আমি আমার ফোন ও ল্যাপটপ দেখেছিলাম। ৬ টার পরে নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠার পর দেখি আমার ল্যাপটপ,ফোন ও আমাদের রুমমেট দের ফোন গুলো নেই। আমাদের হলের নিচে সিকিউরিটি গার্ড থাকার শর্তেও নিয়মিত এমন চুরির ঘটনা অপ্রত্যাশিত।এর আগেও আমি আমার মোবাইল ফোন হারিয়েছি হল থেকে।
আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, হলে চুরির ঘটনা নতুন কিছু নয়।এমন চুরির ঘটনা মাঝে মধ্যেই হচ্ছে। এই মাসেই শুধুমাত্র আমাদের হলে ৩ বার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতো বার চুরির ঘটনার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা হল সুপার থেকে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই।তারা এই ধরনের চুরির ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকালে নামাজ শেষে কেয়ারটেকার এসে নিচের ফ্লোরের বাতিগুলো বন্ধ করে দেন।এর কিছুক্ষণ পর হলে চোরেরা প্রবেশ করেন মাস্ক পরিহিত অবস্থায়। এর পর তারা হলের সবগুলো ফ্লোরে যান এবং শেষে এসে চতুর্থ তলায় এই চুরি করেন। তবে লাইট বন্ধ থাকায় চোরদের শনাক্ত করা যায় নাই। চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় জিডির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই ঘটনায় কেয়ারটেকার জড়িত থাকতে পারে বলে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন।
এই বিষয়ে হল সুপার ঠাকুর দাস বলেন, এই বিষয়ে আমার তেমন কিছু করার নাই। ছাত্রদের একটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। আমি হল প্রভোস্ট কে জানিয়েছি। আগামীকাল তারা হল পরিদর্শনে আসবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।