ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনেক স্টেকহোল্ডার থাকে। শুধুমাত্র ছাত্র সংগঠনগুলো ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচন করে বিষয়টা এমন না। সুধী সমাজ ও নাগরিক সমাজ সবারই আগ্রহ থাকে। সবারই সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। সবকিছু মিলিয়ে এ নির্বাচনটি করার জন্য যে পরিবেশ দরকার সেই পরিবেশ সবসময় পাওয়া যায় না। স্থিতি থাকে না। আমরা প্রত্যাশা করবো সে ধরনের সুন্দর একটি পরিবেশ চলে আসবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার একটি সুন্দর সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। আমরা সুন্দর সময় প্রত্যাশা করি।
এসময় ঢাবি ভিসি আরও বলেন, ডাকসু ও হল সংসদ খুব সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম। এক বছরে আমি দেখেছি, শিক্ষার্থীরা খুব সুন্দর করে কাজ করেছে।
২৮ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালের ১১ মার্চ বর্তমান ভিসির সময়েই ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য সব প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক ছাড়া ২৩টি পদে জয়লাভ করে ছাত্রলীগ। ২৩ মার্চ নির্বাচিতরা দায়িত্ব নেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৩ মার্চ ডাকসুর মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্ধিত ৯০ দিনও শেষ হয় ২০ জুন। কিন্তু নতুন করে এখনো নির্বাচন দেয়নি প্রশাসন।
বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় স্থিতিশীল রয়েছে। তারপরও কোন অদৃশ্য কারণে নির্বাচন দেয়া হচ্ছে না সেটি কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবেন। আমরা শীঘ্রই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দাবি জানাই।