ডেস্ক রিপোর্ট: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আন্দোলন কারা করেছে? যাকে ইচ্ছা তাকে উপদেষ্টা বানাবেন, ক্ষমতা দেবেন, এটা বাংলাদেশের মানুষ মানে না, মানবে না। কোনো নাস্তিককে আমরা বাংলাদেশে উপদেষ্টা দেখতে চাই না। ঠিকমতো দেশ চালান, এতে ব্যর্থ হলে ভূমিকম্প হয়ে যাবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় জয়পুরহাট শহীদ ডা. আবুল কাসেম ময়দানে ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজ গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সমাজতান্ত্রিক কল্যাণমূলক ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ফয়জুল করীম বলেন, আগের-মাঝের-বর্তমান সব দুর্নীতিবাজরা এক হয়ে গেছে। আর দেশটা লুট করার, ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। তাই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলবো।
তিনি আরও বলেন, বৃটিশ হটাও আন্দোলনের পরও বৈষম্য দূর হয়নি। মুসলমানদের ওপর অত্যাচার-অবিচার করা হয়েছে। তখন মুসলমানরা চিন্তা করেছে, আলাদা ভূখণ্ড ছাড়া তাদের কল্যাণ, মুক্তি নেই। এর জন্য আন্দোলন করে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামে এক ভূখণ্ড পেয়েছিলাম। যেহেতু মুসলমানদের আন্দোলনের কারণে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত থেকে দেশ আলাদা হয়েছে, মনে রাখতে হবে এই দেশ মুসলমানদের, অন্য কারও না। অধিকার সবার। সেসময়ও বৈষম্য দূর হয়নি। মানুষ ৭১ সালে আবারও আন্দোলন করে এই দেশ লাভ করে। কিন্তু ৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আবারও বৈষম্য।
তিনি বলেন, সাম্যতা নেই, মানবিক মর্যাদা নেই, সামাজিক ন্যায়বিচার নেই। আবারও মানুষ ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সাম্যতা, বৈষম্য দূর করার জন্য জীবন, রক্ত দিয়েছে। আমরা রাজপথে নেমেছিলাম জীবনের মায়া ত্যাগ করে। মানুষের কল্যাণ, অধিকার ফিরিয়ে দেব বলে। যেখানে থাকবে না লুটপাট, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, গুম, খুন, অত্যাচার, অবিচার, দখলদারি। ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পরে মানুষের সাম্যতা রক্ষা হবে, জুলুম-অত্যাচার দূর হয়ে যাবে, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে, চাঁদা থাকবে না। মানুষ নির্বিঘ্নে হাঁটবে, ভয় থাকবে না। একজন মহিলা একা একা হাঁটলে ধর্ষিত হবে না, ইভটিজিংয়ের শিকার হবে না। যেখানে শ্রমিকসহ সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমরা কি দেখলাম, ৫ আগস্টের পর আবারও দখলদারি, চাঁদাবাজি, খুন, মিথ্যা মামলা, জুলুম, অত্যাচার, অবিচার।