টিচিং এক্সিলেন্স প্রোগ্রাম (টিইপি) সফলভাবে শেষ করায় সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র দেয় ব্রিটিশ কাউন্সিল।
জ্ঞান, সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে শিক্ষাবিদদের ক্ষমতায়নে তিনমাস মেয়াদী অনলাইন মডিউল পরিচালনার পর গত ০৩ মার্চ টিইপি’র কর্মশালার আয়োজন করা হয়। চার দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালকরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
গত বছর ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি (অপারেশনাল অ্যালায়েন্স এগ্রিমেন্ট) অনুযায়ী, টিইপি শিক্ষাবিদদের জন্য শিক্ষাদান পদ্ধতির সংস্কার, প্রমাণ-নির্ভর কৌশল প্রয়োগ ও শিক্ষাগত কনটেন্ট-সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধিসহ নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরির ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সুযোগ নিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেন, “টিচিং এক্সিলেন্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় আমরা সত্যিই অভিভূত। ‘গোয়িং গ্লোবাল পার্টনারশিপ’- এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাদান, শিক্ষাগ্রহণ ও গবেষণার মান সমৃদ্ধ করতে চাই আমরা। সেক্ষেত্রে, টিইপি’র মতো প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও গবেষকদের সংযুক্ত করার মধ্য দিয়ে উচ্চ শিক্ষাকে বিশ্বমানের করে তোলা ও এতে আন্তর্জাতিক মাত্রা নিয়ে আসার সুযোগ তৈরি করতে চায় ব্রিটিশ কাউন্সিল।”
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন, অ্যাডভান্সএইচই’র গ্লোবাল অ্যাসোসিয়েট ও সিনিয়র ফেলোশিপ অব দ্য হাইয়ার এডুকেশন একাডেমি (এসএফএইচইএ) ক্যাথি রাইট আলোচনা করেন এবংন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মশিহুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মো. গুলজার হোসেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. চৌধুরী মেশকাত আহমেদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহার এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. ফারহিন ।
এ প্রোগ্রাম সম্পর্কে অ্যাডভান্সএইচই’র ক্যাথি রাইট বলেন, “গত বছরের কোর্সের ছোট একটি ফ্যাসিলিটেটরদের দল এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের সার্বিক সহায়তা করেছে এবং অংশগ্রহণকারীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে, সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, অংশগ্রহণকারীরা ইতোমধ্যে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য নিজেদের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে শুরু করেছেন।”
অনুষ্ঠানে সনদপত্র প্রদান করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের এই যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণের মান আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষাবিদদের পেশাগত উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ্দক্ষতা ও জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে তুলতে আমাদের সফল অংশিদারিত্বের বহিঃপ্রকাশ এই টিইপি কর্মশালা। আমার পক্ষ থেকে সকল অংশগ্রহণকারীকে আন্তরিক অভিনন্দন; তাদের নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রম বাংলাদেশে শিক্ষার ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”