ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের পক্ষে ব্যাপকভাবে প্রচারণায় নেমেছিলেন ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের একাধিক সমাবেশে ইলন মাস্ককে উচ্ছ্বসিতভাবে দেখা গেছে। এরপর ট্রাম্পের বিজয়ের পর পেয়েছেন বিশেষ দায়িত্ব। এনিয়ে মার্কিন রাজনীতে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতি টাইম ম্যাগাজিন তাদের নতুন প্রচ্ছদ প্রকাশ করেছে। সেটি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ট্রাম্পের পরিবর্তে মাস্কই প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী, যা ট্রাম্পের জন্য অপমানজনক হতে পারে।
লাল রঙয়ে আচ্ছাদিত প্রচ্ছদে দেখা যাচ্ছে, ইলন মাস্ক হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্টের রেজল্যুট ডেস্কের পেছনে বসে আছেন, হাতে কফির পেয়ালা। সিএনএন বলছে, ছবিটি ট্রাম্পকে চটানোর কৌশল হতে পারে।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে সাংবাদিক সাইমন শুস্টার এবং ব্রায়ান বেনেট লিখেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’-কে (ডিওজিই) সরকারি কর্মচারীদের ব্যাপক ছাঁটাইয়ের ক্ষমতা দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কিছু আইনি পদক্ষেপের কারণে তার কার্যক্রম কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ককে এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছাড়া আর কারও কাছে দায়বদ্ধ বলে মনে হচ্ছে না, যিনি তার প্রচারণা দাতাকে সরকারকে তার এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য ব্যাপক ম্যান্ডেট দিয়েছিলেন।
মাস্কের অফিস ডিওজিই টাইম ম্যাগাজিনের সকল প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে টাইম ম্যাগাজিন।
এই প্রচ্ছদ সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, টাইম ম্যাগাজিন এখনো ব্যবসায় টিকে আছে নাকি? তবে এনিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইলন মাস্ক।