বগুড়ায় ঝালমুড়ি বিক্রেতার ছুরিকাঘাতে আহত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক মেহেরাজ হোসেন ফাহিম মারা গেছেন।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শজিমেকের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল।
জানা যায় গত ২৩ নভেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝালমুড়ি বিক্রেতা শাকিল হোসেনের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ফাহিম। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ফাহিমকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
নিহত ফাহিম ঢাকার সবুজবাগের নূর মোহাম্মাদের ছেলে এবং শজিমেক হাসপাতালের ২৫তম ব্যাচের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে ঘটনার পরেই অভিযুক্ত ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন ফাহিমের বাবা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সেদিনই বাবা-ছেলে দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে ফাহিমের পেটের ভেতরে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ২৮ নভেম্বর তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে ফাহিমের মৃত্যু হয়।’
এবিষয়ে বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম বলেন, ‘আসামিরা কারাগারে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে করা মামলাটি হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হবে।’