ডেস্ক রিপোর্ট: জুলাই-অগাস্ট অভ্যুত্থানে ‘শহীদদের’ নামে উপজেলা পর্যায়ে ২২০টির বেশি স্টেডিয়াম স্থাপন হচ্ছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ স্টেডিয়ামগুলো স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার(১৬ নভেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য নির্মিত ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
আগামী ২০২৫ সালের পাঠ্যবইতে জুলাই-অগাস্ট অভ্যুত্থান নিয়ে একটি অধ্যায় সংযোজন করা হচ্ছে এবং যেখানে শহীদদের স্মৃতিকথা লেখা থাকবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
এছাড়া পরবর্তী বছরের পাঠ্যবইতে যেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ‘বীরত্বপূর্ণ’ স্মৃতিগুলোকে যথাযথভাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিচ্ছে বলেও জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বপ্রাপ্ত এই উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমাদের ২২০টির অধিক উপজেলা স্টেডিয়াম হবে। আমরা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রত্যেকটা স্টেডিয়ামের নামই সেই উপজেলায় আমাদের যারা শহীদরা রয়েছেন তাদের নামে হবে।আমরা এই উদ্যোগটা নিচ্ছি কেন না আমরা চাই যারা জীবন দিয়ে এক সীমাহীন ফ্যাসিবাদ থেকে আমাদের মুক্ত করেছে, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি, দেশ পুনর্গঠনের স্বপ্ন দেখছি, রাষ্ট্র সংস্কারে সবাই অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছি তাদেরকে যেন আমরা কখনও ভুলে না যাই, বাংলাদেশ কখনও ভুলে না যায়। সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমরা এই ক্ষুদ্র প্রয়াস নিচ্ছি।
কুষ্টিয়ার জেলা স্টেডিয়ামের নাম ‘আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম’, টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামের নাম জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে টাঙ্গাইলের পুলিশের গুলিতে নিহত ‘শহীদ’ মারুফের নামে করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।