ডেস্ক রিপোর্ট: জীবন যায় যাক, তবু যে অন্যায় ও বৈষম্য হচ্ছে, তার প্রতিবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে।
আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদের এ ঘোষণা দেন।
গত রাতের ঘটনার উল্লেখ করে জি এম কাদের এর নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা ২ তারিখ (২ নভেম্বর, শনিবার) যে কর্মসূচি দিয়েছি, সে কর্মসূচি চালু থাকবে। কেউ ভয় পাবেন না যে যেখানে আছেন।…আমরা মরতে আসছি, আমরা মরতে চাই। কত লোক মারবেন ওনারা, আমরা সেটা দেখতে চাই। মনে রাখবেন, ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। হাত দিয়ে প্রতিবাদ করতে না পারলে মুখ দিয়ে করো। মুখ দিয়ে না পারলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করো। আমাদের সেটা করতে হবে। তার জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।’
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা কোনো অপরাধ করিনি। আমাদের জোর করে অপরাধী করা হচ্ছে। কেন করা হচ্ছে, আমরা জানি না।’
কেন জাতীয় পার্টি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তার উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি জাতীয় পর্যায়ের একটি রাজনৈতিক দল। বারবার আমাদের কবরস্থ করার পরও আমরা কবর থেকে উঠে এসেছি। কেউ আমাদের ধ্বংস করতে পারেনি। যেহেতু আমরা সহাবস্থানের রাজনীতি করি, আমরা দখলদারি করিনি, সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না, হাট-মাঠ-ঘাট দখল করিনি, মানুষকে অত্যাচার-দলীয়করণ করিনি। আমরা মানুষকে সুশাসন দিয়েছি, উন্নয়ন দিয়েছি, সংস্কার দিয়েছি, গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েছি। মানুষ তা স্মরণ করে।’
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, ২০১৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করেছি। এরশাদ সাহেবকে জোর করে সিএমএইচে ভর্তি করে, দলে ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র একটি অংশকে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও তারা একই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছে। এটা কি সরকারকে বৈধতা দেওয়া হয়নি? ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দল অংশ নিয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনও আমরা করতে চাইনি, জোর করে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনা অনেকে দেখেছেন এবং জানেন।’
জি এম কাদের এ-ও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে বলব, আপনি তো আমাদের, দেশের অভিভাবক। আপনি আমাদের সমান চোখে দেখেন। আমরা সকলে আপনার সন্তান। দোষত্রুটি সবারই থাকে। দোষত্রুটি থাকলে সেভাবে বিচার-আচার করে শাস্তি দেন, আবার কোলে তুলে নেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার, শেরীফা কাদেরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।