ডেস্ক রিপোর্ট: নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিষয়ে আলোচনা করতে সিরিয়া সফর করেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তার সঙ্গে ছিলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো। তারা সিরিয়ার ডি-ফ্যাক্টো শাসক এবং হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠীর প্রধান আহমেদ হুসেইন আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেন।
শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) এই বৈঠকের শুরুতেই একটি অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটে। আল-শারা ফরাসি মন্ত্রীর সঙ্গে করমর্দন করেন। কিন্তু বেয়ারবকের দিকে হাত বাড়াননি। তিনি বেয়ারবককে বুকে হাত রেখে সম্মান জানান। খবর আরটি।
সিরিয়ার বিদ্রোহী জোটের নেতা আল-শারা একজন কট্টর ইসলামি বিশ্বাসী। তিনি নারীদের সঙ্গে করমর্দন করেন না। এজন্যই তিনি বেয়ারবকের সঙ্গে হাত মেলাননি।
বেয়ারবক এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি জানতাম, করমর্দনের আশা করা ঠিক হবে না। ফরাসি মন্ত্রীও করমর্দন এড়িয়ে চলার বিষয়ে তার সঙ্গে একমত ছিলেন।
বৈঠকে নারীর অধিকার নিয়ে আল-শারার সঙ্গে দুই মন্ত্রী কথা বলেন। ফরাসি মন্ত্রী বারো এক্স-এ এক পোস্টে উল্লেখ করেন যে, সিরিয়ার নতুন প্রশাসন নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহী জোটের আকস্মিক আক্রমণে সিরিয়ার সেনাবাহিনী কয়েক দিনের মধ্যে পরাজিত হয়। এর ফলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটে।
এদিকে সব ইস্যুকে ছাপিয়ে আল-শারার করমর্দন এড়ানোর বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত হচ্ছে।